ব্যবসায়ী অনিল আম্বানির সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকটি কোম্পানির দফতরে বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান চালাল ইডি (Enforcement Directorate)। মূলত অর্থপাচার এবং ঋণ জালিয়াতির অভিযোগেই এই তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। মুম্বইয়ের একাধিক অফিস এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বাড়িতেও অভিযান চলছে।
ইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলি দীর্ঘদিন ধরেই ঋণ বাবদ নেওয়া অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিয়ে প্রশ্নের মুখে ছিল। তদন্তকারীরা অভিযোগ করেছেন যে, বড় অঙ্কের ঋণ নেওয়া হলেও, সেটি ব্যবসায়িক খাতে ব্যয় না করে অন্য খাতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে সঠিক হিসেব না থাকার কারণে আর্থিক গরমিল ধরা পড়েছে।
উল্লেখ্য, এই মাসের শুরুতেই স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (SBI) অনিল আম্বানিকে ‘উইলফুল ডিফল্টার’ বা জালিয়াত ঘোষণা করেছে। ডিসেম্বর ২০২৩, মার্চ ২০২৪ এবং সেপ্টেম্বর ২০২৪— এই তিনটি সময়ে SBI রিলায়েন্স কমিউনিকেশনসের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছিল। কোম্পানির পক্ষ থেকে প্রাপ্ত জবাব পরীক্ষা করে ব্যাংক জানায় যে ঋণের শর্তাবলী যথাযথভাবে মানা হয়নি। সেই সঙ্গে ঋণ-অ্যাকাউন্টের লেনদেনে বহু অসঙ্গতি ধরা পড়েছে।
এই প্রেক্ষিতেই ইডির দফতর একাধিক নথি ও অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছে। বৃহস্পতিবার সকালে শুরু হওয়া এই অভিযান চলাকালীন ইতিমধ্যেই বহু কম্পিউটার হার্ডড্রাইভ, ফাইল ও ইমেল লগ সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযানের সময় কিছু আর্থিক পরামর্শদাতাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ইডি সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে যে সব নথি উদ্ধার হয়েছে, সেগুলি খতিয়ে দেখার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তদন্তে আরও কয়েকটি কোম্পানি বা ব্যক্তির নাম উঠে আসার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই নিয়ে অনিল আম্বানি বা তাঁর সংস্থার তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি প্রতিক্রিয়া মেলেনি।