Fake Epic Card Issue: ভোটার তালিকা জালিয়াতির অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। নির্বাচন কমিশনকে সরাসরি বিজেপির ‘ভোট কারচুপি বিভাগ’ বলে কটাক্ষ করল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার দলীয়ভাবে এক কঠোর বিবৃতিতে তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি সুপরিকল্পিতভাবে ভোট কারচুপির চক্রান্ত করছে, আর তাতে মদত দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন নিজেই।
ভোট কারচুপির ‘এপিক’ কেলেঙ্কারি!
তৃণমূলের দাবি, একাধিক রাজ্যে ভোটারদের একই ইপিক (Electors Photo Identity Card) নম্বর দেওয়া হয়েছে, যা ইচ্ছাকৃতভাবে বিজেপির জাল ভোটের ছক। মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে এই কৌশল কার্যকর হলেও পশ্চিমবঙ্গে তা ধরা পড়ে যায়।
এক টুইটে তৃণমূল লিখেছে—
"ভোট কারচুপির 'ইপিক' কেলেঙ্কারি! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহু আগে থেকেই সতর্ক করেছিলেন যে বিজেপি কীভাবে গণতন্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চক্রান্ত করছে। এবার নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব বক্তব্যই সেই আশঙ্কাকে প্রমাণ করল। একাধিক রাজ্যে একই এপিক নম্বর! এটা কি শুধুই 'ম্যানুয়াল এরর', নাকি বিজেপির মাস্টারপ্ল্যান? মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে কারচুপি করে পার পেয়ে গেছে, কিন্তু বাংলায় ধরা পড়েছে!"
তৃণমূল আরও অভিযোগ তোলে—
"‘নিরপেক্ষ’ নির্বাচন কমিশন আসলে বিজেপির ভোট কারচুপির দফতর হয়ে উঠেছে। গণতন্ত্র কোনো ‘মোদি-মেড’ পণ্য নয়, যা ইচ্ছামতো বিক্রি করা যাবে! আমরা এই চক্রান্ত সফল হতে দেব না।"
নির্বাচন কমিশনের সাফাই, কিন্তু সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে
তৃণমূলের এই বিস্ফোরক অভিযোগের কিছুক্ষণ পরই নির্বাচন কমিশন বিবৃতি দিয়ে জানায়, একটি ইপিক নম্বর থাকা মানেই ভোটার জালিয়াতি হচ্ছে এমনটা নয়।
কমিশনের বক্তব্য
"ইপিক নম্বর যাই হোক না কেন, কোনো ভোটার কেবলমাত্র সেই রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নির্দিষ্ট বুথেই ভোট দিতে পারবেন, যেখানে তিনি ভোটার তালিকায় নথিভুক্ত আছেন।" এছাড়া কমিশন আরও জানায়, ভোটার যোগ্যতা শুধুমাত্র ইপিক নম্বরের উপর নির্ভর করে না। তবে এই সাফাইকে মানতে নারাজ তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ভুয়ো ভোটার ঢোকানোর চেষ্টা করছে, নির্বাচন কমিশনের আশীর্বাদ নিয়ে।
মমতার দাবি—
"সুস্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের ছত্রছায়ায় বিজেপি ভোটার তালিকা নিয়ে কারসাজি করছে। মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে যা করেছে, এবার বাংলায় সেটাই করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা তা হতে দেব না!" তৃণমূলের এই গুরুতর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন কী পদক্ষেপ নেয়, তা এখন দেখার। তবে ভোটের আগে এই বিতর্ক যে রাজনৈতিক ময়দানে বড় ইস্যু হয়ে উঠবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।