Advertisement

Election Dates 2022: ৫ রাজ্যে ভোটের দিন ঘোষণা, কোন দল কাকে টক্কর দেবে জানুন

Election Dates 2022: আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, গোয়া ও মণিপুরের বিধানসভা নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে এই পাঁচ রাজ্যে আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হয়েছে। এক নজরে জানুন এই ৫ রাজ্যের নির্বাচনী ইতিহাস এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট।

৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন।৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন।
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 08 Jan 2022,
  • अपडेटेड 5:23 PM IST
  • ৫ রাজ্যে ভোটের দিন ঘোষণা
  • কোন দল কাকে টক্কর দেবে
  • জানুন বিস্তারিত তথ্য

আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, গোয়া ও মণিপুরের বিধানসভা নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে এই পাঁচ রাজ্যে আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হয়েছে। এক নজরে জানুন এই ৫ রাজ্যের নির্বাচনী ইতিহাস এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট।

উত্তরপ্রদেশে ২০১৭ বিধানসভা নির্বাচন

উত্তর প্রদেশ বিধানসভার মেয়াদ আগামী ১৪মে ২০২২ সালে শেষ হচ্ছে। ১৪ মে এর আগে বিধানসভা নির্বাচন ও নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। উত্তর প্রদেশে মোট ৪০৩টি বিধানসভা আসন রয়েছে। শেষ নির্বাচন ফেব্রুয়ারি-মার্চ ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ৩২৫টি আসন জিতে ক্ষমতায় আসে। যোগী আদিত্যনাথ ১৯ মার্চ ২০১৭ সালে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ হলেন প্রথম বিজেপি নেতা, যিনি উত্তর প্রদেশে তাঁর পাঁচ বছরের কার্যকালের মেয়াদ সম্পূর্ণ করেছেন। দল তাঁর মুখ সামনে রেখে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। 

আরও পড়ুন

ইউপিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা

বিজেপি আপনা দল (এস) এবং নিষাদ পার্টির সঙ্গে জোট করে ২০২২ সালের উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের মাঠে নেমেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পর্যন্ত বিজেপি নেতারা রাজ্যে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নেমে গিয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে ছোট দলগুলিকে নিয়ে ময়দানে নেমেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। উত্তরপ্রদেশে তিনি এসপি আরএলডি, সুভাষএসপি, পিএসপি, জনবাদী পার্টি, মহান দল সহ প্রায় এক ডজন ছোট দলের সঙ্গে জোট গঠন করেছে।

ময়দানে সব দল

প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নেতৃত্বে ইউপি নির্বাচনে নেমেছে কংগ্রেস। প্রিয়াঙ্কা মহিলাদের হয়ে সোচ্চার হয়েছেন এবং মহিলাদের জন্য ৪০ শতাংশ টিকিট দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। তবে ২০২২ সালের এই বিধানসভা নির্বাচনে বিএসপি-র পাশাপাশি দলিত রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বিএসপি প্রধান মায়াবতী কোনও দলের সঙ্গে জোট করেননি এবং ২০০৭ সালের মতো ব্রাহ্মণ-দলিত সমীকরণ তৈরি করার চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া ইউপিতে আসাদউদ্দিন ওয়েইসিও পা রাখতে মরিয়া। ফলে বাকিদলগুলির মুসলিম ভোটব্যাঙ্কে তিনি থাবা বসাতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

নজর উত্তরাখণ্ডে
 
৭০ আসনের উত্তরাখণ্ড বিধানসভার মেয়াদ ২৩ মার্চ ২০২২ সালে শেষ হচ্ছে। এখানে কংগ্রেস এবং বিজেপির পাশাপাশি, আম আদমি পার্টি, বিএসপি এবং অনেক ছোট দল লড়াইয়ে নেমেছে। এমন পরিস্থিতিতে উত্তরাখণ্ড নির্বাচন বিজেপির জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং রয়ে গিয়েছে। কারণ এখানে প্রতি পাঁচ বছর পর পর ক্ষমতা পরিবর্তনের রেওয়াজ চলে আসছে প্রায় দুই দশক ধরে। এমন পরিস্থিতিতে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফেরার আশা দেখছে। যদিও বিজেপি এই ক্ষমতা পরিবর্তনের মিথ ভাঙতে তৎপর।

কড়া টক্করের সম্ভবনা

উত্তরাখণ্ডের ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, বিজেপি ৫৭ টি আসনে জয়ী হয়ে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার সঙ্গে সরকার গঠন করে। বিরোধী কংগ্রেস ১১টি আসন পায়। ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত মুখ্যমন্ত্রী হন, কিন্তু চার বছর পর বিজেপির তরফ থেকে তীরথ সিং রাওয়াতের মুখ্যমন্ত্রী হন। কিন্তু মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই তীরথ রাওয়াতের জায়গায় পুষ্কর সিং ধামিকে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। এইভাবে, এই নির্বাচনটি পুষ্কর ধামির জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং রয়ে গেছে।

পঞ্জাবে কঠিন সমীকরণ

২০২২ সালে যে সাতটি রাজ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা, তার মধ্যে পাঞ্জাবই একমাত্র রাজ্য যেখানে কংগ্রেস ক্ষমতায় রয়েছে। পাঞ্জাব বিধানসভার মেয়াদ ২৭ মার্চ ২০২২ সালে শেষ হবে। কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি এবং রাজ্য সভাপতি নভজ্যোৎ সিং সিন্ধুর ঠান্ডাযুদ্ধ দেখেছেন সকলে। অন্যদিকে আম আদমি পার্টি এবার দ্বিতীয় থেকে এক নম্বর দল হওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে। অন্যদিকে, আকালি দল বিএসপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। অন্যদিকে বিজেপি আবার ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের দলের সঙ্গে জোট করেছে।

লড়াইয়ে সব দল

১১৭ আসনের পাঞ্জাবে ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ৭৭টি আসনে জয়ী হয়ে দশ বছর পর ক্ষমতায় ফিরে আসে। যেখানে শিরোমণি অকালি দল-বিজেপি দলের জোট নেমে যায় ১৮টি আসনে। আদমি পার্টি প্রধান বিরোধী দল হয়ে ওঠে। ২০টি আসনে জয়ী হয় তারা। ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং মুখ্যমন্ত্রী হন। কিন্তু চার বছর পর ক্যাপ্টেন অমরিন্দরকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে যান। চরণজিৎ সিং চান্নিকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। পাঞ্জাবে সরকার গঠনের জন্য যেকোনো দল বা জোটকে ৫৯ টি আসন পেতে হবে।

মণিপুরে কড়া টক্করের আভাস

৬০ আসনের মণিপুর বিধানসভার মেয়াদ ১৯মার্চ ২০২২ সালে শেষ হবে। এমন পরিস্থিতিতে এর আগে রাজ্যে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। ২০১৭ সালের মণিপুর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ২৪ টি আসন জিতে একক বৃহত্তম দল হিসাবে সামনে চলে আসে। কংগ্রেস ১৭ জন বিধায়ক নিয়ে বিরোধী দলের মর্যদা পায়।

বিজেপি এনপিপি, এলজেপি এবং নির্দল বিধায়কদের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে। এন বীরেন্দ্র সিং মুখ্যমন্ত্রী হন। মণিপুরের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে বিজেপি আবারও পূর্ণ শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে। অন্যদিকে ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া কংগ্রেসও।

গোয়াতে বদলেছে সমীকরণ

৪০ আসনের গোয়া বিধানসভার মেয়াদ আগামী ১৫ মার্চ শেষ হবে। এই রাজ্যে সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি সালে। কংগ্রেস ১৫টি আসন জিতে একক বৃহত্তম দল হিসাবে উঠে আসে। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তারা সরকার গঠন করতে পারেনি। বিজেপি ১৩টি আসন জেতে এবং এমজিপি, জিএফপি এবং দুই নির্দল বিধায়কের সমর্থনে সরকার গঠন করে বিজেপি। মনোহর পারিক্কর গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হন। ১৭ মার্চ ২০১৯ সালে তাঁর মৃত্যুর পরে ডঃ প্রমোদ সাওয়ান্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন। তবে এবার শুধু কংগ্রেস এবং বিজেপির লড়াই নয়, গোয়াতে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল এবং অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিও লড়াই করতে চলেছে। বিজেপি গত ১০ বছর ধরে গোয়ায় ক্ষমতায় রয়েছে। ফলে গোয়াতে বিজেপির জন্য চ্যালেঞ্জ অনেকটাই কঠিন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement