গুজরাতে ফের ইতিহাস গড়া পথে বিজেপি। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়তে চলেছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে কংগ্রেসের অবস্থা সর্বকালীন খারাপ গুজরাতে। হিমাচল প্রদেশে লড়াই হাড্ডাহাড্ডি। এখনও পর্যন্ত কংগ্রেস এগিয়ে হিমাচল প্রদেশে।
নির্বাচনী প্রচারে বলেছিলাম নরেন্দ্রর রেকর্ড ভাঙবে ভূপেন্দ্র। সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন গুজরাটের মানুষ। রাজ্যের ইতিহাসে বৃহত্তম জনাদেশ। নতুন ইতিহাস তৈরি করেছেন মানুষ। আড়াই দশক সরকারে থেকেও এই ধরনের ভালবাসা অভূতপূর্ব। জাতি-সম্প্রদায়ের ঊর্ধ্বে উঠে বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন: নরেন্দ্র মোদী
কোথাও কোনও পুনর্নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে: নরেন্দ্র মোদী
নরেন্দ্র মোদী বলেন,'হিমাচলে ১ শতাংশের কম ভোটে হেরেছি। অর্থাৎ বিজেপিকে জেতানোর চেষ্টা করেছে জনতা। হেরে গেলেও একশো শতাংশ উন্নয়ন করব। হিমাচলের উন্নয়ন করবে কেন্দ্রীয় সরকার।'
গুজরাতে বিপুল ভোটে জিতে রেকর্ড গড়েছে বিজেপি। গুজরাতের জনগণের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
সূত্রের খবর, হিমাচল প্রদেশে অপারেশন পদ্ম ঠেকাতে দলের সব বিধায়কদের নিরাপদ স্থানে সরানোর ব্যবস্থা করছে কংগ্রেস। এই প্রসঙ্গে হিমাচলপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের স্ত্রী ও কংগ্রেস নেত্রী প্রতিভা সিং বললেন, মানুষ তাঁদের রায় আমাদের পক্ষে দিয়েছেন। আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা আমাদের বিধায়কদের সঙ্গে চণ্ডীগড় বা যেখানে খুশি বৈঠক করতে পারি। বিধায়করা আমাদের সঙ্গেই আছেন। আমরাই হিমাচলপ্রদেশে সরকার গড়ব।
গুজরাতে ১৫৯ আসনে এগিয়ে বিজেপি। মাত্র ১৫টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। ৫টি আসনে এগিয়ে আপ।
১২ ডিসেম্বর গুজরাতে শপথগ্রহণ। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল বলেন,'নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এই বিরাট জয়। তাঁর দেখানো পথেই রাজ্যে উন্নয়ন হয়েছে।'
গুজরাতে রেকর্ড জয় বিজেপির। সুরাতে বিজেপি নেতা-কর্মীদের উল্লাস।
ভুপেন্দ্র প্যাটেল- ৭৯০৩৭ ভোটে এগিয়ে, রিবাবা জাডেজা ১৯ হাজার ৮২০ ভোটে এগিয়ে, হার্দিক প্যাটেল এগিয়ে ১৯ হাজার ৭০২ ভোটে, অল্পেশ ঠাকুর এগিয়ে ১৩ হাজার ১৮১ ভোটে, হর্ষ সাংভি এগিয়ে ৬২ হাজার ১২৪ ভোটে, পায়েল কুলকার্নি এগিয়ে ২৮ হাজার ৬১৮ ভোটে, কান্তিলাল (মোরবি) এগিয়ে ২৫ হাজার ৫৫০ ভোটে।
উত্তরপ্রদেশের মৈনপুরী লোকসভা আসন, রামপুর ও খাতৌলি বিধানসভা উপনির্বাচনে বড় ধাক্কা খেল বিজেপি। মৈনপুরীতে সপা সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের স্ত্রী ডিম্পল যাদব অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন। রামপুর ও খাতৌলিতেও এগিয়ে সমাজবাদী পার্টি।
গুজরাতের কচ্ছে গান্ধীধামে কংগ্রেস প্রার্থী ভরত সোলাঙ্কি ভোট গণনা কেন্দ্রে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন। তাঁর অভিযোগ, EVM-এ ঠিক মতো সিল করা নেই। কিছু EVM আগেই খোলা হয়েছে। ইভিএম-এ গলদ রয়েছে। গণনা কেন্দ্রে ধর্নায় বসে গিয়েছেন ওি কংগ্রেস নেতা।
গুজরাতে দলের ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ রেজাল্ট হতে চলেছে কংগ্রেসের। কংগ্রেস মাত্র ১৮টি আসনে এগিয়ে গুজরাতে। ১৯৬০ সাল থেকে গুজরাতে বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে। এর আগে কংগ্রেসের সবচেয়ে খারাপ পারফর্ম্যান্স ছিল ১৯৯০ সালে। সে বার ৩৩টি আসন জিতেছিল। ২০০২ সালে ৫০টি আসন। ২০০৭ সালে ৫৯টি আসন। ২০১৭ সালে ৭৭টি আসন জিতেছিল। ১৯৮৫ সালে সবচেয়ে ভাল ফলে করেছিল কংগ্রেস। সে বার ১৪৯টি আসন জিতেছিল।
গুজরাতে বিজেপি-র জয়োল্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিহাস গড়ে ফের গুজরাতে মোদী-ম্যাজিক। ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে বিজেপি।
হিমাচল প্রদেশে একবার কংগ্রেস এগিয়ে যাচ্ছে, একবার বিজেপি। এখনও পর্যন্ত ট্রেন্ড বলছে, কংগ্রেস ৩৪ আসনে এগিয়ে। বিজেপি ২৯ আসনে এগিয়ে।
নির্বাচন কমিশনের পরিসংখ্যান বলছে, গুজরাতে বিজেপি ১৫০,কংগ্রেস ১৮ এবং আম আদমি পার্টি ৬ আসনে এগিয়ে। অন্যান্য এগিয়ে রয়েছে ৩ আসনে।
উত্তরপ্রদেশের মৈনপুরী লোকসভা উপনির্বাচনে ২৬ হাজার ভোটে এগিয়ে সপা প্রার্থী ডিম্পল যাদব।
উত্তরপ্রদেশের খাতৌলিতে আরএলডি এগিয়ে। পিছিয়ে বিজেপি।
রামপুর থেকে এগিয়ে সপা প্রার্থী অসীম রাজা।
বিহারের কুধানি আসনে এগিয়ে জেডিইউ। পিছিয়ে বিজেপি
মোরবিতে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী কান্তিলাল। নির্বাচনের ঠিক আগে সেতু ভেঙে মোরবিতে ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
হিমাচলপ্রদেশে ভোটপ্রবণতার নিরিখে ৩৬ আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। সরকার গড়ার ম্যাজিক সংখ্যা ৩৫।
গুজরাটের ভুজে খাতা খোলার পথে ওয়াইসির দল। এই বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে এআইএমআইএম প্রার্থী শাকিল মহম্মদ শামা।
গুজরাতে জয়ের উল্লাস শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। ১৮২টি আসনের মধ্যে ১৪৭টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। কংগ্রেস এগিয়ে ২১টি আসনে। ১০টি আসনে এগিয়ে আম আদমি পার্টি। হিমাচলপ্রদেশে ৩৩টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস, ৩২টি আসনে এগিয়ে বিজেপি।
গুজরাতে ১৮২টি আসনের মধ্যে ১৫১টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। কংগ্রেস এগিয়ে ২২টি আসনে। ৭টি আসনে এগিয়ে আপ। গুজরাতে বিজেপি ফের সরকার গড়তে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
হিমাচলপ্রদেশে কড়া টক্কর চলছে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে। কংগ্রেস এগিয়ে ২৯টি আসনে। ২৭টি আসনে এগিয়ে বিজেপি।
গুজরাতে ১৬৭টি আসনে প্রাথমিক ট্রেন্ডে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি ১১১টি আসনে এগিয়ে, ৫১টি আসনে কংগ্রেস এগিয়ে। ৫ আসনে এগিয়ে আম আদমি পার্টি। মোরবি, যেখানে ব্রিজ বিপর্যয় ঘটেছিল, সেখানে বিজেপি অনেকটাই এগিয়ে।
হিমাচলপ্রদেশে ৬৮ আসনের মধ্যে ২৮টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। ২৩টি আসনে এগিয়ে বিজেপি।
ভোট গণনার প্রাথমিক ট্রেন্ডে গুজরাতে ১০০-র বেশি আসনে এগিয়ে বিজেপি। ৪৩ আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। হিমাচলপ্রদেশে ২২টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। ২০টি আসনে এগিয়ে বিজেপি।
গণনার প্রাথমিক ট্রেন্ডে গুজরাতে অনেকটা এগিয়ে বিজেপি। ৮৫টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। সেখানে হিমাচল প্রদেশে কড়া টক্কর চলছে বিজেপি ও কংগ্রেসের। দুই দলই ৭-৭টি করে আসনে এগিয়ে।
গুজরাতে ৩০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ৭টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস। খাতা খুলল আম আদমি পার্টি। একটি আসনে এগিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল।
গুজরাত বিধানসভা ভোটের গণনা চলছে। ১৯ আসনে এগিয়ে গেল বিজেপি। এখনও কোথাও খাতা খোলেনি আপ ও কংগ্রেস।
গুজরাতে ১৮২টি আসনের মধ্যে ১টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। আপ শূন্য ও কংগ্রেস শূন্য।
গুজরাত ও হিমাচলপ্রদেশে পোস্টাল ব্যালট গণনা শুরু হয়ে গেল। হিমাচলে ১২ নভেম্বর ও গুজরাতে ১ ও ৫ ডিসেম্বর ভোট হয়েছিল।
গুজরাত ও হিমাচলপ্রদেশে ভোট গণনা শুরুর প্রস্তুতি।
হিমাচল প্রদেশের এগজিট পোল রেজাল্টে, ইন্ডিয়া টুডে মাই অ্যাক্সিস ইন্ডিয়া বুথ ফেরত সমীক্ষায় উঠে এসেছিল, বিজেপি পেতে পারে ২৪-৩৪টি আসন, কংগ্রেস পেতে পারে ৩০-৪০টি আসন, অন্যান্যরা ৪-৮টি আসন। আপ খাতা খুলতে পারবে না।
গুজরাতে একটু পরেই শুরু হবে ভোট গণনা। প্রথমে গোনা হবে পোস্টাল ব্যালট, সকাল ৮.৩০ থেকে ইভিএম গণনা শুরু হবে। গণনার জন্য রাজ্যের ৩৩টি জেলায় মোট ৩৭টি গণনা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পি ভারতী জানিয়েছেন, ১৮২ জন অবজ়ার্ভার, ১৮২ জন নির্বাচনী আধিকারিক, ৪৯৪ জন সহকারি নির্বাচনী আধিকারিককে এই কাজে মোতায়েন করা হয়েছে।
হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনার জন্য নিরাপত্তা কর্মী, রিটার্নিং অফিসার এবং অন্যান্য ভোটকর্মী মিলিয়ে মোট ১০,০০০-এরও বেশি কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনীশ গর্গ বলেছেন, রাজ্যের ৫৯টি স্থানে মোট ৬৮টি গণনা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
হিমাচল প্রদেশে ৬৮ আসনের ফল জানা যাবে আজ। ১৯৮৫ সাল থেকেই এই রাজ্যে একটানা দুইবার ক্ষমতায় টেকেনি কোনও দল। প্রত্যেক ৫ বছর বাদে বাদে ক্ষমতাসীনদের সরিয়ে দেয় হিমাচল প্রদেশের মানুষ।
হিমাচলে প্রদেশে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের যে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন বুথ ফেরত সমীক্ষায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা জয়রাম ঠাকুর আজ ফের দাবি করেছেন, হিমাচলে অনায়াসে জিতবে বিজেপি।
গুজরাত ও হিমাচলের সঙ্গে আজ পাঁচটি রাজ্যের ৬ টি আসনে অনুষ্ঠিত বিধানসভা উপনির্বাচনের ভোট গণনা এবং হাই-প্রোফাইল মইনপুরি লোকসভা আসনের উপনির্বাচনের ভোট গণনাও অনুষ্ঠিত হবে। মইনপুরী সংসদীয় আসনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) এবং ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মধ্যে।
১৮২ আসনের গুজরাত বিধানসভায় দুই দফায় ভোটগ্রহণ হয়। গত ১ এবং ৫ ডিসেম্বর সেখানে ভোটগ্রহণ হয়। বৃহস্পতিবার মোট ৩৭ কেন্দ্রে ভোটগণনা হবে।