দিল্লি সহ সারা দেশে বিদ্যুতের দাম বাড়তে পারে। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ রায়ে রাজধানীতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে। তবে আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এই বৃদ্ধিটি যেন যুক্তিসঙ্গত ও সাশ্রয়ী হয় এবং দিল্লি বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (DERC) কর্তৃক নির্ধারিত সীমা অতিক্রম না করে।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, DERC-কে বিদ্যুতের হার বাড়ানোর স্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে—কখন, কীভাবে এবং কতটা বাড়ানো হবে তা নির্দিষ্ট করে। এই বর্ধিত হার ব্যক্তিগত, আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প—সব ধরনের গ্রাহকের জন্য প্রযোজ্য হবে।
প্রসঙ্গত, এই মামলাটি বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থাগুলির বছরের পর বছর ধরে ঝুলে থাকা বকেয়া পেমেন্ট সংক্রান্ত। বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলি (Discoms) দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কাছে পাওনা আদায়ের দাবি জানিয়ে আসছিল। এই পাওনাকেই বলা হয় নিয়ন্ত্রক সম্পদ (Regulatory Assets)। এটি মূলত সেই অর্থ, যা Discoms বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য খরচ করলেও, ভোক্তাদের কাছ থেকে বিদ্যুতের দাম হিসেবে আদায় করা যায়নি।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, চার বছরের মধ্যে এই নিয়ন্ত্রক সম্পদ সম্পূর্ণ অবলুপ্ত করতে হবে। এর ফলে দিল্লি ছাড়াও যেসব রাজ্যে কয়েক দশক ধরে এই পাওনা ঝুলে আছে, সেখানেও আগামী চার বছরে ধাপে ধাপে বিদ্যুতের দাম বাড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রায় দেশের বিদ্যুৎ খাতে বড় প্রভাব ফেলবে। একদিকে এটি বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থাগুলির আর্থিক চাপ কমাবে, অন্যদিকে সাধারণ গ্রাহকদের খরচ বাড়াবে। আদালত যদিও বলেছে, দাম বৃদ্ধি যেন অযৌক্তিক না হয়, তবে বিদ্যুৎ বিলের ওপর বাড়তি চাপ পড়া প্রায় নিশ্চিত।
এখন দেখার, DERC এবং অন্যান্য রাজ্যের বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনগুলি কীভাবে এই দাম বৃদ্ধির রোডম্যাপ তৈরি করে এবং গ্রাহকদের উপর কতটা প্রভাব ফেলে।