পহেলগাঁও হামলার পর থেকে ভারতের তোড়জোড় দেখে বুক কাঁপছে পাকিস্তানের। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) কার্যত অঘোষিত জরুরি অবস্থা শুরু হয়েছে। পর্যটকদের গতিবিধিতে নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে, বন্ধ করা হয়েছে ধর্মীয় মাদ্রাসা। যে কোনও মুহূর্তে এমারজেন্সি ঘোষণা করা হতে পারে বলেও সতর্কবাণী দিয়ে রেখেছে PoK সরকার।
সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে নীলম ঘাঁটি এবং নিয়ন্ত্রণ রেখার নিকটবর্তী স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আগামী ১০ দিনের জন্য PoK-তে বন্ধ থাকবে সমস্ত ধর্মীয় মাদ্রাসা।
পাক অধিকৃত কাশ্মীর সরকারের আশঙ্কা, ভারত যে কোনও মুহূর্তে আক্রমণ করতে পারে। ফলে আগেভাগে পর্যাপ্ত খাবার, ওষুধপত্র-সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বস্তু মজুত করা শুরু হয়েছে। এমারজেন্সি ফান্ডে এক আরব ট্রান্সফার করা হয়েছে। একইসঙঅগে সমস্ত হোটেল, গেস্টহাউস এবং বেঙ্কয়েট হলগুলির মালিকদের প্রয়োজনে সেনাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্রশাসনের তরফে নীলম ঘাঁটি এবং নিয়ন্ত্রণ রেখার নিকটবর্তী স্পর্শকাতর এলাকাগুলি থেকে সমস্ত পর্যটকদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মার্বেল চেকপোস্ট থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু পর্যটককে। লীপা ঘাঁটি এলাকার বাসিন্দাদেরও নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছাকাছি যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সুরক্ষা এজেন্সিগুলির সঙ্গে সকলকে সহযোগিতা করে চলতে বলা হয়েছে।
গোপন সূত্রে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হওয়ার খবর পেয়ে তড়ঘড়ি আগামী ১০ দিনের জন্য ধর্মীয় মাদ্রাসাগুলি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে PoK সরকার। এই মাদ্রাসাগুলিকে আতঙ্কবাদীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করে ভারত আক্রমণ চালাতে পারে বলেই আশঙ্কা তাদের। আইনমন্ত্রী মিঞা আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, 'আমরা এক ধূর্ত, ক্রূর এবং ষড়যন্ত্রকারী শত্রুর মোকাবিলা করছি। এই শত্রু যে কোনও সময়ে যে কোনও রকমের পদক্ষেপ করতে পারে তা অস্বীকার করার উপায় নেই।'
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার-উল-হক বিধানসভায় বলেন, 'আমরা যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। ভারতীয় সেনা গুলি চালাচ্ছে। এতে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে।'