উত্তরপ্রদেশে ফের এনকাউন্টার। এবার খতম কুখ্যাত ধর্ষক। শাহজাদ ওরফে নিক্কি ধীর নামে এই ব্যক্তি ২ নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে ৫ বছর কারাবন্দি থাকার পর পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে আমচকাই জেল থেকে পালিয়ে যায়। তার মাথার দাম ছিল ২৫ হাজার টাকা। ৫টি মামলা ছিল তার বিরুদ্ধে।
কেন হল এনকাউন্টার?
জানা গিয়েছে, ওই কুখ্যাত ধর্ষক পুলিশের উপর গুলি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিল। পাল্টা গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। সেই গুলিতেই ঘায়েল হয়ে মৃত্যু হয় নিক্কি ধীরের। ঘটনাটি ঘটেছে সারুরপুর পুলিশ স্টেশন এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন SP (গ্রামীণ) অভিজিত কুমার সহ বিপুল পুলিশবাহিনী উপস্থিত হয়েছে।
কীভাবে এনকাউন্টার?
শাহজাদের বিরুদ্ধে নাবালিকা কন্যাদের ধর্ষণ সহ একাধিক গুরুতর অপরাধের মামলা দায়ের ছিল। সে জেল থেকে পালানোর পর দীর্ঘদিন ধরে গা ঢাকা দিয়েছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পাওয়া যায়, সে জঙ্গলে লুকিয়ে রয়েছে। এরপরই পুলিশের দল সারুরপুরের জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। নিজেকে ঘেরাও হতে দেখে শাহজাদ পুলিশ দলের ওপর গুলি চালায়। পাল্টা গুলিতে সে গুরুতরভাবে আহত হয়। পুলিশ শাহজাদকে আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়, কিন্তু সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। গুলিটি তার বুকে ও পায়ে লেগেছিল। সারুরপুর থানার ওসি জানান, শাহজাদের বিরুদ্ধে মিরাট, মুজাফফরনগর ও বাঘপাত জেলায় নাবালিকাদের সঙ্গে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি, অপহরণ ও হত্যার চেষ্টার মতো ১৫টিরও বেশি মামলা দায়ের ছিল। দুই নবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় সে ছিল মূল অভিযুক্ত। এই মামলাতেই পুলিশের পক্ষ থেকে তার মাথার উপর ২৫ হাজার টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। বেআইনি অস্ত্র কেনাবেচার সঙ্গেও জড়িত ছিল অপরাধ জগতে 'নিক্কি’ নামে পরিচিত এই ব্যক্তি।
কী বলছে পুলিশ?
মিরাটের SSP বিপিন টাডা বলেন, 'নিহত অপরাধীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, লুট ও খুনের চেষ্টা সহ মোট ৭টি মামলা দায়ের ছিল। সে অতীতে এক নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের মামলায় পাঁচ বছর কারাবাসে ছিল। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পরও সে অপরাধের পথে ফিরে যায় এবং এক ৭ বছর বয়সী শিশুর উপর নৃশংস অত্যাচার চালায়। যাতে শিশুটি গুরুতরভাবে আহত হয়। এই ঘটনার পর পুলিশ তার গ্রেফরের জন্য ২৫ হাজার টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। সোমবার সকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশের দল সারুরপুরের জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান চালায়। তাকে ঘিরে ফেলা হয়েছে বুঝে শাহজাদ পুলিশের উপর গুলি চালায়। পাল্টা গুলিতে সে গুরুতরভাবে আহত হয়। পুলিশ তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়, কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।'