Advertisement

'টাকার বদলে প্রশ্ন' মামলা: মহুয়াকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার, ঘোষণা স্পিকারের

রিপোর্টে মহুয়ার আচরণ 'আপত্তিকর', 'অনৈতিক', 'জঘন্য' এবং 'অপরাধ মূলক' বলে বর্ণনা করা হয়েছে। মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্তের সুপারিশও করেছে কমিটি। 

Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 08 Dec 2023,
  • अपडेटेड 3:31 PM IST
  • মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করল এথিক্স কমিটি।
  • টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করায় অভিযুক্ত মহুয়া।
  • মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্তের সুপারিশ।

তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করলেন স্পিকার ওম বিড়লা। টাকার বদলে প্রশ্ন মামলায় আজ অর্থাত্‍ শুক্রবার মহুয়াকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করলেন স্পিকার। 

অভিযুক্ত ব্যক্তিকেও বলার সুযোগ দেওয়া উচিত: কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ আমরা একজন ব্যক্তির অধিকার নিয়ে যখন আলোচনা করছি, তখন অভিযুক্ত ব্যক্তিকেও বলার সুযোগ দেওয়া হোক।  

মহুয়াকে বলার সুযোগ দেওয়া হোক: সুদীপ  

তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, আমি আমার দলের তরফে অনুরোধ করছি, মহুয়া মৈত্রকে বলার সুযোগ দেওয়া হোক। আজ এথিক্স কমিটি রিপোর্ট পেশ করল লোকসভায়। অথচ অনেক আগেই এই রিপোর্ট মিডিয়ায় ফাঁস হয়েছে। কেন? মহুয়াকে ১০ মিনিট বলার সুযোগ কেন দেওয়া হচ্ছে না। 

কাকে কী দণ্ড দেওয়া হবে, তা এথিক্স কমিটি ঠিক করতে পারে না: মণীশ তিওয়ারি

কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারিও মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়ালেন। বললেন, যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তাঁকে কিছু বলারই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এটা কীভাবে সম্ভব? ৩০ বছর ওকালতি করছি। এই প্রথম একটি রিপোর্ট সম্পূর্ণ না পড়ে আলোচনা করছি। কাকে কী দণ্ড দেওয়া হবে, তা এথিক্স কমিটি ঠিক করতে পারে না। এটা ঠিক নয়। 

এত কম সময়ে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট নিয়ে কীভাবে চর্চা সম্ভব? বললেন অধীর

মহুয়ার পক্ষে সওয়াল করে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর বললেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্তকেও মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার আগে বিচারক তাঁর বক্তব্য পেশের সুযোগ দেন। মহুয়া মৈত্রকে অন্তত কিছু বলার সুযোগ দেওয়া হোক। এত কম সময়ে এত বড় সিদ্ধান্ত কী ভাবে সম্ভব? সংসদের গরিমা বজায় রাখা উচিত।

শুক্রবার সংসদে প্রবেশের মুখে মহুয়া বলেছেন, 'মা দুর্গা এসে গিয়েছেন, এখন আমরা দেখব। যখন মানবতার ধ্বংস হয়, তখন প্রথমে বুদ্ধির বিনাশ ঘটে। তারা বস্ত্রহরণ শুরু করেছে এবং এখন আপনারা মহাভারতের যুদ্ধের সাক্ষী হবেন।' 

Advertisement

মহুয়াকে নিয়ে বিতর্কের শুরু হয় গত ১৫ অক্টোবর। সেদিন তৃণমূলের 'লড়াকু' সাংসদের বিরুদ্ধে 'টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন' করার অভিযোগ করেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। প্রথমে এই সংক্রান্ত অভিযোগ লিখিত আকারে গোড্ডার বিজেপি সাংসদ দুবেকে জানান মহুয়ার প্রাক্তন বন্ধু তথা আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাই। অভিযোগের সাপেক্ষে কিছু নথিও দুবেকে দেন দেহাদ্রাই। তার পরেই সেই নথি-সহযোগে মহুয়ার বিরুদ্ধে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে অভিযোগ জানান দুবে। এর পরই মহুয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এথিক্স কমিটিকে তদন্তের নির্দেশ দেন স্পিকার।

মহুয়াকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে প্রথমে গত ৭ নভেম্বর বৈঠক ডাকে এথিক্স কমিটি। কিন্তু সেদিন বৈঠক পিছিয়ে ৯ তারিখ করা হয়। ওই দিন বৈঠকে ৬:৪ ভোটে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করে কমিটি। পাশাপাশি, মহুয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই-ইডিকে দিয়ে তদন্তের সুপারিশ করা হয়েছে। মহুয়ার হয়ে বিরোধী শিবিরের ৪ সাংসদ ভোট দেন। তাঁরা হলেন, বিএসপি-র দানিশ আলি, সিপিআইয়ের নটরাজন, কংগ্রেসের বৈথিলিঙ্গম এবং জেডিইউয়ের গিরিধারী যাদব। তেলঙ্গানার কংগ্রেস সাংসদ উত্তম রেড্ডি সে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের মনোনয়নের জন্য ভোট দিতে পারেননি। এর পর নজরে ছিল, মহুয়াকে নিয়ে কী রিপোর্ট দেয় এথিক্স কমিটি। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এই রিপোর্ট পেশ করার কথা জানা যায়। মহুয়াকে বহিষ্কার করা হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। অবশেষে সেই জল্পনাই সত্যি হয়ে গেল শুক্রবার। 

Read more!
Advertisement
Advertisement