ইভিএম-এর কোনও তথ্য মুছে দেওয়া যাবে না বা নতুন করে কোনও তথ্য ঢোকানো যাবে না। নির্বাচন কমিশনকে এই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। ইভিএম যাচাইয়ের বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (ADR) আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেছিল। সেই মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চে। তখনই এই নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফে।
এদিনের শুনানিতে বিচারপতিরা সাফ জানান, তাঁরা চান না ইভিএমে কোনও কারচুপি হোক। তবে ইঞ্জিনিয়র যেন বলতে পারেন, কোনও কারচুপি হয়েছে কি না। নির্বাচন কমিশন আশ্বাস দিয়ে জানায়, শীর্ষ আদালত যেভাবে বলবে সেভাবেই কাজ করা হবে। আদালতের নির্দেশ তারা বাস্তবায়িত করার চেষ্টাও করছে। এই গোটা বিষয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে জবাব তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
নির্বাচন কমিশনকে আদালত জানায়, 'ডেটা মুছবেন না বা পুনরায় লোড করবেন না। কোনও পরাজিত প্রার্থী যদি ব্যাখ্যা চান, তবে ইভিএমে কারচুপি হয়েছে কি না, তা যেন ইঞ্জিনিয়র বলতে পারেন। একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কারও মনে কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয়। এতে বিশ্বাসভঙ্গ হয়।'
এডিআর-এর হয়ে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট প্রশান্ত ভূষণ। তিনি কোর্টে বলেন, 'আমরা চাই সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন যে পদ্ধতি অনুসরণ করবে তা তাদের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোটোকল অনুসারে হওয়া উচিত। আমরা চাই কেউ ইভিএমের সফ্টওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার পরীক্ষা করুক, যাতে জানা যায় যে কোনও ধরণের টেম্পারিং করা হয়েছে কিনা।'
এই বিষয়ে প্রধান বিচারপতি খান্না প্রশ্ন করেন, 'ভোট গণনার পর পেপার ট্রেইল থাকবে নাকি সরিয়ে ফেলা হবে?' উত্তরে আইনজীবী ভূষণ জানান, 'ইভিএম সংরক্ষণ করা উচিত। পেপার ট্রেইল সেখানে উপস্থিত থাকা উচিত।' উভয় পক্ষের যুক্তি শোনার পর আদালত জানায়, কারও মনে ইভিএম নিয়ে যদি সংশয় থাকে তাহলে যেন তা নিরসনের ব্যবস্থা থাকে।