ভারতে উৎসবের মরসুম আসন্ন এবং এর সঙ্গে সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি ভোজ্যতেল সহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্তটি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, উৎসবের মরসুমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং সাধারণ মানুষের ওপর চাপ বাড়বে না। এর জন্য নিত্যপণ্যের ব্যবসায়ীদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সরকার বুধবার জানিয়েছে যে, উৎসবের সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানো হবে না এবং গম, চাল, চিনি ও ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে। সাম্প্রতিক সময়ে, সরকার ভোজ্যতেলের আমদানি শুল্ক বাড়িয়েছে, যা এর দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি করেছে। তবে, খাদ্য ভোক্তা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, এই মুহূর্তে ভোজ্যতেল কোম্পানিগুলোকে দাম না বাড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার সম্প্রতি একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ভোজ্য তেলের শুল্ক বৃদ্ধি করেছে। সূর্যমুখী তেল, পাম অয়েল ও সয়াবিন তেলের ওপর এই বৃদ্ধি করা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে নতুন শুল্ক হার কার্যকর হয়েছে। অপরিশোধিত তেলের বেসিক শুল্ক ০-২০% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পরিশোধিত তেলের শুল্ক ১২.৫-৩২.৫% হয়েছে। নতুন শুল্ক হার অনুযায়ী, অপরিশোধিত তেলের কার্যকর শুল্ক ৫.৫ শতাংশ থেকে ২৭.৫ শতাংশ এবং পরিশোধিত তেলের শুল্ক ১৩.৭৫ শতাংশ থেকে ৩৫.৭৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
মন্ত্রক থেকে বলা হয়েছে, পণ্য ব্যবসায়ীদের দাম না বাড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর ফলে উৎসবের সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকবে আশা করা হচ্ছে। সরকারের মতে, শিল্পে ৩০ লাখ টন ভোজ্য তেল শূন্য শুল্কে আমদানি করা হয়, যা ৪৫ থেকে ৫০ দিনের অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট। মঙ্গলবার, কেন্দ্রীয় সরকার ভোজ্য তেল ইউনিয়নগুলিকে ০% এবং ১২.৫% বেসিক কাস্টম শুল্কে আমদানি করা ভোজ্য তেলের স্টক না পাওয়া পর্যন্ত তেলের এমআরপি স্থিতিশীল রাখার পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়াও, সরকার বর্তমানে ব্যবসায়ীদের কাছে ১০০ লাখ টন গম রেখেছে এবং খোলা বাজারে গম বিক্রি করবে না।