অবশেষে মণিপুরে পৌঁছবে ট্রেন
স্বাধীনতার ৭৪ বছর পর অবশেষে মণিপুরে ট্রেন পৌঁছতে চলেছে। সফলভাবে সম্পন্ন হল ট্রায়ালও। ফলে ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে মণিপুর রাজ্যে। শুক্রবার অসমের শিলচর থেকে মণিপুরে সফলভাবে একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেনের পরীক্ষামূলক ট্রায়াল সফলভাবে আয়োজন করল ভারতীয় রেল।
নাগাল্যান্ড সীমান্তের কাছে স্টেশন
যে স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনটি চালানো হয়েছে, সেই ভেনগাইচুনপাও নাগাল্যান্ডের সীমান্তের কাছে অবস্থিত। ফলে নাগাল্যান্ডও এই ট্রেন থেকে সুবিধা নিতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে অর্থনীতি, পর্যটন, সামাজিক পরিকাঠামো সবটারই সার্বিক উন্নতি হবে ওই রাজ্যদুটির। ভবিষ্যতে ট্রেনের গতিপথ আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
শিলচর থেকে মণিপুর
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে জানানো হয়েছে, শিলচর থেকে মণিপুরের তামেংলং জেলার ভেনগাইচুনপাও পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে সেই রাজধানী এক্সপ্রেস চালানো হয়েছে। সেই ট্রেনটি যাত্রাপথে কিছুক্ষণের জন্য শিলচর স্টেশনে দাঁড়ায়। সেখানে হাজির ছিলেন রেলের কর্তা এবং স্থানীয়রা। তাঁরা ট্রেনটিকে সাদরে অভ্যর্থনা জানান।
ইম্ফল থেকে মোরে যুক্তহবে রেলপথে
সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু নিয়মিতভাবে ট্রেন চলাটল শুরু করার কথা। শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল সেই পরিষেবার উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন রেল কর্তারা। আপাতত ইম্ফল পর্যন্ত পৌঁছানোর চেষ্টা করছে রেল। তারপর মণিপুরের সীমান্ত শহর মোরেতে শেষ স্টেশন তৈরি করা হবে। শিলচর-ইম্ফল লাইনে তৈরি হবে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেল সেতু।
উচ্ছ্বাস রাজনৈতিকমহলে
পরীক্ষামূলক ট্রায়ালের ট্রেনের ভিডিয়ো টুইটারে পোস্ট করেন উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়নের স্বাধীনভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। তিনি লেখেন, ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ভারতের রেল মানচিত্রে মণিপুর যুক্ত হল। শিলচর থেকে তামেংলং জেলার ভেনগাইচুনপাও পর্যন্ত প্রথম প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সফল পরীক্ষামূলক দৌড় সম্পূর্ণ হয়েছে।
ভিডিওটি রিটুইট করে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংও। টুইটারে তিনি লেখেন, ‘মণিপুরের জন্য এটা একটা ঐতিহাসিক ক্ষণ। শিলচর থেকে মণিপুরের তামেংলং জেলার ভেনগাইচুনপাও পর্যন্ত প্যাসেঞ্জার ট্রেনের পরীক্ষামূলক দৌড় সম্পূর্ণ হল শুক্রবার। এ জন্য মণিপুরের মানুষ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির কাছে কৃতজ্ঞ।
টুইটে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন বিজেপির জাতীয় স্পোকসপার্সন সুনীল দেওধরও। অর্থনৈতিক রূপান্তর ঘটবে বলে তিনি মনে করেন।