
কয়েক দিনে ২ হাজারের বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে ইন্ডিগো। দেরিতে চলছে বহু বিমান। আর এমন পরিস্থিতিতে অন্যান্য বিমান সংস্থাগুলির উপর যাত্রীদের অসহায়তার সুযোগ নেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। অনেক বেশি ভাড়া নেওয়ার দাবি করছেন অনেকে। যদিও এই পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না যায়, সেটা নিশ্চিত করতে চাইছে ভারত সরকার। তাদের পক্ষ থেকে যেই সব রুট বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, সেই সব রুটে ভাড়ার ক্যাপ লাগানো হয়েছে। যার ফলে ইচ্ছেমতো ভাড়া বাড়ানো যাবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আসলে বেশ কিছু দিন ধরেই ইন্ডিগোর বহু ফ্লাইট ক্যানসেল করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, বহু ফ্লাইট দেরিতেও ছেড়েছে। যার ফলে অন্যান্য বিমানের চাহিদা বেড়েছে। তারা অত্যধিক ভাড়া হাঁকছে বলেই অভিযোগ। আর এমন পরিস্থিতিতেই অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হল বলেই জানা যাচ্ছে।
মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ভাড়া বাড়ানোর মতো কাজ করা যাবে না। এমনটা হলে সহ্য করা হবে না বলেই খবর। এই পরিস্থিতিতে মন্ত্রক নিজেদের বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করেছে। যার মাধ্যমে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত রুটগুলিতে ভাড়ার উপর ক্যাপ বসানো হয়েছে বলেই খবর। মন্ত্রকের তরফ থেকে এই মর্মে সব এয়ারলাইন্সের কাছে নির্দেশিকা গিয়েছে। সব সংস্থাকে এই ক্যাপিং মেনে চলার দেওয়া হয়েছে পরামর্শ।
যতদূর খবর, এই ব্যবস্থা এখনই তুলে নেওয়া হবে না। বরং যতদিন না পরিস্থিতি ঠিক হয়, ততদিন এটা চলবে। যার ফলে যাত্রীদের সুবিধা হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মন্ত্রকের তরফ থেকে জানান হয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে যাত্রীদের স্বার্থেই এই ক্যাপ বসানো হয়েছে। যাতে কেউ এই পরিস্থিতির সুযোগ না নিতে পারে, সেটা দেখা হচ্ছে। এর মাধ্যমেই সিনিয়র সিটিজেন থেকে শুরু করে পড়ুয়ারা সুরহা পাবেন বলে মনে করছেন তারা।
মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে রিয়েল টাইমে ভাড়া চেক করা হচ্ছে। কোনও এ দিক-ও দিক হলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। এখন দেখার এই দাবির কতটা প্রতিফলন হয়।
কবে স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি?
কর্মী সংকটে ভুগছে ইন্ডিগো। যার ফলে বাতিল হয়েছে বহু বিমান। আর এমন পরিস্থিতিতে সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হচ্ছে, তারা কাজ করছে। ১৪ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের সবটা ঠিক হয়ে যাবে।