প্রয়াত হলেন বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। জানা গিয়েছে, ৮ জানুয়ারি ভোর ৫টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বাড়িতেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপালের বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। বাবার প্রয়াত হওয়ার খবর জানিয়েছেন কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর ছেলে নীরজ ত্রিপাঠী। পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৮ ডিসেম্বর কেশরীনাথ ত্রিপাঠী বাথরুমে পড়ে যান। তাঁর ডান হাত ভেঙে যায়। যার কারণে তিনি দুর্বল হয়ে পড়েন। শুক্রবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।
পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৮ ডিসেম্বর কেশরীনাথ ত্রিপাঠী বাথরুমে পড়ে যান। তাঁর ডান হাত ভেঙে যায়। যার কারণে তিনি দুর্বল হয়ে পড়েন। শুক্রবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এরপরই উত্তর প্রদেশ বিধানসভার প্রাক্তন স্পিকারকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর ত্রিপাঠীকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়, যেখানে রবিবার ভোরে তিনি মারা যান।
ত্রিপাঠি দু'বার কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং লখনউয়ের সঞ্জয় গান্ধী পোস্টগ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে চিকিৎসার পরে সুস্থ হয়েছিলেন।
১৯৩৪ সালের ১০ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন পন্ডিত কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। সাত ভাই-বোনের মধ্য়ে তিনিই ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। কেশরীনাথ ত্রিপাঠী কেন্দ্রীয় হিন্দু স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। ১৯৪৯ সালে আগরওয়াল ইন্টার কলেজ থেকে হাইস্কুল এবং ১৯৫১ সালে ইন্টারমিডিয়েট করেন। এর পরে, তিনি ১৯৫৩ সালে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। তারপর এখান থেকে এলএলবি ও তারপর মিরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.লিট এবং রাজর্ষি ট্যান্ডন মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
তথ্য অনুযায়ী, কেশরী নাথ ত্রিপাঠী ১৯৫২ সালে ভারতীয় জনসংঘে যোগ দেন। তিনি কাশ্মীর আন্দোলনে যোগ দেন। এ জন্য তাঁকে জেলেও যেতে হয়েছে। তিনি শ্রী রাম জন্মভূমি আন্দোলনেও অংশ নিয়েছিলেন। এ জন্য তাঁকে ১৯৯০ সালের ২৩ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত জেলে থাকতে হয়।