রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের অবস্থান নিয়ে মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তিনি প্রশংসা করে বলেছেন যে দেশ শান্তি প্রতিষ্ঠা করার সময় তার সার্বভৌম এবং অর্থনৈতিক স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে সঠিক কাজ করেছে। শান্তিপূর্ণ আলোচনাই ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানের একমাত্র উপায়, ভারত বরাবরই এই অবস্থান নিয়েছে।
যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা G20 শীর্ষ সম্মেলনের জন্য দিল্লিতে এসেছেন। সেই সময় মনমোহন সিংয়ের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনের আলোচনাতেও এই প্রসঙ্গ আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
মনমোহন সিং পরিবর্তিত আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা, বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, চিনের প্রসঙ্গেও মতামত জানিয়েছেন যে সাংবিধানিক মূল্যবোধ এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি সহ একটি শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্র হিসাবে এই নতুন বিশ্ব ব্যবস্থাকে পরিচালনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে ভারত।
২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মনমোহন সিং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন যে দলীয় বা ব্যক্তিগত রাজনীতির জন্য কূটনীতি এবং বিদেশনীতি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সংযম অনুশীলন করা সমান গুরুত্বপূর্ণ। তিনি উল্লেখ করেছেন যে বিশ্বে ভারতের অবস্থান অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক উদ্বেগের বিষয় হওয়া উচিত, তবে এটিকে দলীয় লাভের জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়। এছাড়াও তিনি মনে করেন জলবায়ু পরিবর্তন, বৈষম্য এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মতো বিষয়ে জি-২০-র মতো প্ল্যাটফর্মে আলোচনা হওয়া উচিত। তিনি অবশ্য নিরাপত্তা-সম্পর্কিত বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য শীর্ষ সম্মেলনকে ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন।
মনমোহন সিং বলেছেন, 'আমি খুবই আনন্দিত যে G20-এর সভাপতিত্বের সুযোগ ভারতের কাছে এসেছে আমার জীবদ্দশায়। আমি G20 শীর্ষ সম্মেলনের জন্য আয়োজনের সাক্ষী।' জি ২০ সম্মেলনে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের না আসাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মনে করছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের আঞ্চলিক ও সার্বভৌম অখণ্ডতা রক্ষা করতে এবং দ্বিপাক্ষিক উত্তেজনা কমাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।