জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনের সূচনা হল। শনিবার নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপম কনভেশন সেন্টারে এই সম্মেলনের সূচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী G-20-এর চেয়ারম্যান হিসেবে সমস্ত দেশের প্রতিনিধিদের স্বাগত জানান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী প্রথমেই মরক্কোতে ভূমিকম্পের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন এবং সাহায্যের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, পুরো বিশ্ব মরক্কোর পাশে রয়েছে।'
এরপর তিনি বলেন, 'আজ আমরা যেখানে জড়ো হয়েছি, সেখান থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে আড়াই হাজার বছরের পুরনো একটি স্তম্ভ রয়েছে। এতে স্বানীয় ভাষায় লেখা আছে যে মানবতার কল্যাণ সর্বদা নিশ্চিত করতে হবে। আড়াই হাজার বছর আগে সারা বিশ্বকে এই বার্তা দিয়েছিল ভারতভূমি। একবিংশ শতাব্দীর এই সময় গোটা বিশ্বকে এক নতুন দিশা দিতে চলেছে। বিশ্ব আমাদের কাছ থেকে নতুন সমাধান দাবি করছে। তাই আমাদের সকলকে দায়িত্ব পালন করেই এগিয়ে যেতে হবে।'
করোনা পরবর্তী বিশ্বে যে সংকট নেমে এসেছিল, তা এখনও বর্তমান। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোদী সবাইকে একযোগে কাজ করতে আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'করোনার পর আস্থাহীনতার সংকট দেখা দিয়েছে। যুদ্ধ এই সংকটকে আরও গভীর করেছে। আমরা যখন করোনাকে পরাজিত করতে পেরেছি, তখন পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে এই সংকটও কাটিয়ে উঠতে পারব। এই সময় আমাদের সকলের একসঙ্গে চলার সময়। এই সময়ে, 'সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াস' মন্ত্র আমাদের জন্য মশালবাহক হতে পারে। উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে বিভাজন হোক, পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে দূরত্ব, খাদ্য ও জ্বালানি ব্যবস্থাপনা, সন্ত্রাসবাদ, সাইবার নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, জ্বালানি বা জল নিরাপত্তা, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এর একটি কঠিন সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।'
আফ্রিকান ইউনিয়নকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে G-20-এর স্থায়ী সদস্য হওয়ার জন্য। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'সকলের সঙ্গে একতার চেতনায় ভারত প্রস্তাব করেছিল যে আফ্রিকান ইউনিয়নকে G-20-র স্থায়ী সদস্যপদ দেওয়া হবে। আমি বিশ্বাস করি যে আমরা সবাই এই প্রস্তাবে একমত। সকলের সম্মতিতে আফ্রিকান ইউনিয়নের স্থায়ী সদস্যপদ বিবেচনা করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।'