মঙ্গলবার গগনযান মিশন কত দূর এগিয়েছে, তার তদারকিতে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর পাশাপাশি দেশের মহাকাশ অভিযান-গবেষণার ভবিষ্যত রূপরেখা নিয়ে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক করেন।
অভিযানের প্রস্তুতি মূল্যায়নের জন্য এই বৈঠক। ২০২৫ সালে এই অভিযানের মাধ্যমেই মহাকাশে নভোশ্চর পাঠাবে ভারত।
আর কয়েকদিনের মধ্যেই ক্রু এস্কেপ সিস্টেম পরীক্ষা করবে ইসরো। অর্থাৎ, উৎক্ষেপণের সময়ে কোনও অঘটন হলে যাতে অভিযাত্রীরা নিরাপদে মূল রকেট থেকে আলাদা হয়ে নেমে আসতে পারেন, সেই সিস্টেমের পরীক্ষা করা হবে। এর জন্য একটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তার কয়েকদিন আগেই এই বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
মহাকাশ বিভাগ গগনযান মিশনের একটি সার্বিক বিবরণ দিয়েছে এদিনের বৈঠকে। হিউম্যান-রেটেড লঞ্চ ভেহিকেল, এখনও পর্যন্ত যোগ হওয়া বিভিন্ন উন্নত বিভিন্ন প্রযুক্তির বিষয়ে হাইলাইট করেছে। হিউম্যান রেটেড লঞ্চ ভেহিকেল (HLVM3)-এর মোট তিনটি আনক্রুড মিশন হবে। অর্থাৎ, মানুষ চড়ানোর আগেই, ফাঁকা অবস্থাতেই ৩ বার পরীক্ষামূলক উড়ান চালাবে ইসরো। সবকিছু ঠিকঠাক, সুরক্ষিত আছে কিনা দেখে নেওয়া হবে। সব মিলিয়ে প্রায় ২০টি বড় পরীক্ষার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আগামী ২১ অক্টোবর ক্রু এস্কেপ সিস্টেমের প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হবে।
এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চন্দ্রযান-৩ এবং আদিত্য এল১ মিশনের মতোই অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে হবে। ভারতকে আরও নতুন ও উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।
২০৩৫ সালের মধ্যে 'ভারতীয় অন্তরীক্ষা স্টেশন' (ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশন) স্থাপন অন্যতম। শুধু তাই নয়। ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদে প্রথম ভারতীয় পাঠানোর পরিকল্পনাও করা হচ্ছে এখন থেকেই।
এই অভিযান বাস্তবায়নের জন্য, মহাকাশ বিভাগ চন্দ্রাভিযানের একটি রোডম্যাপ তৈরি করবে। চন্দ্রযান মিশনের একটি সিরিজ, একটি নেক্সট জেনারেশন লঞ্চ ভেহিকেল (এনজিএলভি), একটি নতুন লঞ্চ প্যাড নির্মাণ এবং মানব-কেন্দ্রিক পরীক্ষাগার স্থাপনের মতো বড় মাপের ও ব্যয়বহুল বিভিন্ন প্রকল্পের আলোচনা চলছে।
প্রধানমন্ত্রী একটি ভেনাস অরবিটার মিশন এবং একটি মার্স ল্যান্ডার সহ আন্তঃগ্রহ মিশনের বিষয়ে কাজ করার জন্যও ভারতীয় বিজ্ঞানীদের আহ্বান জানান।