ন্যাশনাল হেরাল্ড, ইয়েস ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারি এবং জমি দুর্নীতির মতো একাধিক মামলায় এবার একসঙ্গে গান্ধী পরিবারের চার সদস্য—সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং তাঁর স্বামী রবার্ট বঢরা—ইডির চার্জশিটে নাম উঠে এসেছে। এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি) এই মামলাগুলিতে তদন্ত জোরদার করেছে এবং ইতিমধ্যেই আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে।
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সনিয়া ও রাহুল
ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার সম্পত্তি লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় দিল্লির আদালতে ইডির চার্জশিটে নাম রয়েছে সনিয়া ও রাহুল গান্ধীর। অভিযোগ, অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড-এর সম্পদ অবৈধভাবে ‘ইয়ং ইন্ডিয়া’ নামে একটি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, যাতে সনিয়া ও রাহুল—উভয়েই অধিকর্তা এবং শেয়ারহোল্ডার। এই মামলার সূত্রপাত করেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। কংগ্রেস এই মামলাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করেছে।
রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতি মামলা
প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট বঢরা গুরুগ্রামের জমি দুর্নীতির মামলায় মঙ্গলবার প্রায় ছয় ঘণ্টা ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন। তাঁকে বুধবার আবারও তলব করা হয়েছে। হরিয়ানার একাধিক জমি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে আগে থেকেই অভিযোগ রয়েছে।
ইয়েস ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারিতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নাম
ইয়েস ব্যাঙ্কের আর্থিক তছরুপের মামলায় ইডি যে চার্জশিট জমা দিয়েছে, তাতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নাম রয়েছে। অভিযুক্ত রানা কাপুর দাবি করেছেন, প্রিয়াঙ্কার কাছ থেকে মকবুল ফিদা হুসেনের আঁকা একটি ছবি দু’কোটি টাকায় কিনতে তাঁকে বাধ্য করা হয়। পরে জানা যায়, ওই টাকা সনিয়া গান্ধীর চিকিৎসার খরচ মেটাতে ব্যবহার করা হয়। অভিযোগ, প্রয়াত কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল তাঁকে এই লেনদেনের বিনিময়ে পদ্মবিভূষণের আশ্বাস দিয়েছিলেন।
কংগ্রেসের পাল্টা প্রতিক্রিয়া
এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। দলীয় নেতারা ইডির চার্জশিটকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে বলেছেন, "এই ধরনের পদক্ষেপ শুধুমাত্র বিরোধী কণ্ঠস্বরকে দমন করার জন্য। চার্জশিটের কপি হাতে পাওয়ার পর উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"