Advertisement

সঙ্গমের জলে মানুষের মলের ব্যাকটেরিয়া? এবার মুখ খুললেন শ্রীশ্রী রবি শঙ্কর

গঙ্গার জলে ব্যাকটেরিয়ার বংশবিস্তার করে না। এমনই দাবি করলেন আধ্যাত্মিক নেতা শ্রী শ্রী রবি শঙ্কর। তিনি জানিয়েছেন যে ভক্তির কারণে কোটি কোটি মানুষ কুম্ভে গিয়েছিলেন, যা ভারতের সমৃদ্ধ বৈচিত্র্য এবং আধ্যাত্মিক সম্পদ তুলে ধরে।

গঙ্গার জলে ব্যাকটেরিয়ার বংশবিস্তার করে না: শ্রী শ্রী রবি শঙ্করগঙ্গার জলে ব্যাকটেরিয়ার বংশবিস্তার করে না: শ্রী শ্রী রবি শঙ্কর
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 27 Feb 2025,
  • अपडेटेड 5:22 PM IST
  • বুধবার মহাকুম্ভ মেলা শেষ হয়েছে
  • ৬৭ কোটিরও বেশি ভক্ত কুম্ভ স্নান করেছেন

গঙ্গার জলে ব্যাকটেরিয়ার বংশবিস্তার করে না। এমনই দাবি করলেন আধ্যাত্মিক নেতা শ্রী শ্রী রবি শঙ্কর। তিনি জানিয়েছেন যে ভক্তির কারণে কোটি কোটি মানুষ কুম্ভে গিয়েছিলেন, যা ভারতের সমৃদ্ধ বৈচিত্র্য এবং আধ্যাত্মিক সম্পদ তুলে ধরে। ইন্ডিয়া টুডে-এর রাজদীপ সরদেসাইকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে প্রয়াগরাজের জলে ফিকাল কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া পাওয়া নিয়ে বিতর্কেও নিজের মতামত জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, গঙ্গা পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী জলের একটি উৎস বলেই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

বুধবার মহাকুম্ভ মেলা শেষ হয়েছে। গত ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৬৭ কোটিরও বেশি ভক্ত কুম্ভ স্নান করেছেন। এই বিষয়ে আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা রবি শঙ্কর বলেন, 'আমি কেবলমাত্র তিনটি জিনিস দেখতে পাচ্ছি যা কোটি কোটি ভক্তদের চালিকা শক্তি - আস্থা, আস্থা, আস্থা। এটি মানুষের ভক্তি, যা তাদের চালিত করছে। কুম্ভ মেলা ভারতের মানসিকতায় গভীরভাবে জড়িত। পবিত্র স্নান করা হল একটি আত্মাকে উচ্চতর চেতনায় উন্নীত করার একটি উপায়। একটি ডুব আপনাকে আপনার সত্যিকারের প্রকৃতিতে ফিরিয়ে আনতে পারে। একটি পবিত্র ডুব দেওয়া হল একজনের আত্মাকে উচ্চতর চেতনায় উন্নীত করার একটি উপায়, অতীতকে ক্ষমা করা এবং অতীতকে ভুলে যাওয়া এবং বর্তমানের দিকে এগিয়ে যাওয়া।'

সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের (সিপিসিবি) একটি রিপোর্টে জানিয়েছে যে কুম্ভের সঙ্গমে ফিকাল কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া খুবই উদ্বেগজনক মাত্রায় রয়েছে। এই বিষয়ে রবি শঙ্কর বলেছেন যে গঙ্গা তার আত্ম-শুদ্ধিকরণ ক্ষমতার জন্য পরিচিত। তিনি বলেন,'বিজ্ঞানীরা গঙ্গার জলের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এসেছেন, বলেছেন যে কীভাবে এটি সবচেয়ে শক্তিশালী জল যা নিজেকে বিশুদ্ধ করে এবং এতে ব্যাকটেরিয়া বাড়তে দেয় না। কিছু সমস্যা থাকতে পারে, কিন্তু বিজ্ঞানীদের মতে জলের গুণমান খুবই আশ্চর্যজনক কিছু এবং প্রমাণ করে যে আমাদের বিশ্বাস সহস্রাব্দ ধরে ছিল। আগে মানুষ এবং রাজনৈতিক নেতারা কুম্ভে চুপি চুপি স্নান করতেন। তাঁরা খুব লজ্জিত বোধ করতেন। আমরা আমাদের শিকড়কে সম্মান করছিলাম না। এখন সেটা আর হবে না। আমরা গর্ব করে ঘোষণা করছি আমরা কে। আমরা নিজেদের কাছে সৎ, সেই অসততা, সেই প্রতারণা, ভণ্ডামি আর নেই।'

Advertisement

আরও পড়ুন

Read more!
Advertisement
Advertisement