গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ফের গুরুতর অভিযোগ। এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর সংস্থার জন্য একটি চুক্তি পেতে ২৬৫ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ২,২৩৬ কোটি টাকা 'ঘুষ' দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। আদানি গ্রুপের কোম্পানি, আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেড এবং অপর এক সংস্থার বিরুদ্ধে এই দাবি তোলা হয়েছে।
ঠিক কী অভিযোগ?
বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এই কেসে গৌতম আদানির ভাগ্নে সাগর আদানি, আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের আধিকারিক এবং আরেকটি ফার্ম আজুর পাওয়ার গ্লোবাল লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ সিরিল ক্যাবানেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গৌতম আদানি ও তাঁর ভাগ্নে সাগর, অন্য আরও ৭ জন অভিযুক্তের সঙ্গে, তাদের পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদন কোম্পানির জন্য চুক্তি পেতে এবং ভারতের বৃহত্তম সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প তৈরির জন্য প্রায় ২৬৫ মিলিয়ন ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন। এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করেনি bangla.aajtak.in ।
রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, এর সঙ্গে কোটি-কোটি টাকার মুনাফা জড়িত। রিপোর্টে বলা হয়েছে, অভিযোগকারীদের দাবি, এই চুক্তির মাধ্যমে আদানি গ্রুপ ২০ বছরে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি লাভ করবে বলে মনে করা হচ্ছিল। ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্য়েই এই আধিকারিকদের ঘুষ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ।
এর পাশাপাশি এই মুনাফার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য আরও কিছু দেশের বিনিয়োগকারী ও ব্যাঙ্কের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে। আরও দাবি করা হয়েছে, আদানি গ্রিন এনার্জির আরও এক এক্সিকিউটিভ, প্রাক্তন সিইও বিনীত জৈন, ঋণদাতা ও বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে তাঁর দূর্নীতি লুকিয়ে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি ঋণ এবং বন্ড সংগ্রহ করেছে। উল্লেখ্য, ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কোম্পানির সিইও ছিলেন তিনি।
আদানি গ্রুপের বিবৃতি
আদানি গ্রুপ ইতিমধ্যে এই অভিযোগের পাল্টা বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ এবং এসইসি আমাদের বোর্ড সদস্য গৌতম আদানি এবং সাগর আদানির বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্কের পূর্বাঞ্চলীয় জেলা আদালতে একটি অভিযোগ পত্র জারি করেছে। এদের বোর্ড সদস্য বিনীত জৈনও অন্তর্ভুক্ত। এই ডেভেলপমন্টের পরিপ্রেক্ষিতে, আমাদের সহযোগী সংস্থাগুলি USD ডিনমিনেটেড বন্ড অফার নিয়ে আর না এগনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ব্লুমবার্গের রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকার এই অভিযোগ-বিতর্কের পর আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলি ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বন্ড বাতিল করেছে।
এই রিপোর্টের পরপরই আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে ধস নামে। শেয়ারের অবস্থা জানতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।
খবরটি হিন্দিতে পড়তে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।