Advertisement

'দেউলিয়া' দেশ, ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে UP-র যুবককে বিয়ে শ্রীলঙ্কার যুবতীর

শ্রীলঙ্কায় তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে জেরবার সাধারণ মানুষ। লাগাতার অশান্তির খবর মিলছে সে দেশ থেকে। এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কার এক যুবতীর সঙ্গে ভারতের উত্তরপ্রদেশের এক যুবকের প্রণয় ও তারপর বিয়ে, তাঁদের 'লাভ স্টোরি' যেন সিনেমার মতো। উত্তরপ্রদেশের এক যুবক চাকরি করতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায়।

শ্রীলঙ্কায় আর্থিক সংকটের জেরে স্ত্রী হলেন প্রেমিকাশ্রীলঙ্কায় আর্থিক সংকটের জেরে স্ত্রী হলেন প্রেমিকা
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 16 May 2022,
  • अपडेटेड 10:44 AM IST
  • শ্রীলঙ্কায় তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে জেরবার সাধারণ মানুষ
  • এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কার এক যুবতীর সঙ্গে ভারতের উত্তরপ্রদেশের এক যুবকের প্রণয় ও তারপর বিয়ে
  • তাঁদের 'লাভ স্টোরি' যেন সিনেমার মতো। উত্তরপ্রদেশের এক যুবক চাকরি করতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায়

শ্রীলঙ্কায় তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে জেরবার সাধারণ মানুষ। লাগাতার অশান্তির খবর মিলছে সে দেশ থেকে। এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কার এক যুবতীর সঙ্গে ভারতের উত্তরপ্রদেশের এক যুবকের প্রণয় ও তারপর বিয়ে, তাঁদের 'লাভ স্টোরি' যেন সিনেমার মতো। উত্তরপ্রদেশের এক যুবক চাকরি করতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেখানে গিয়ে এক সিংহলি যুবতীর প্রেমে পড়েন। এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কায় হঠাৎ নেমে আসে অর্থনৈতিক মন্দা ও তার থেকে অশান্তি। সময়ের পরোয়া না করে যুবতী সটান হাজির হন প্রেমিকের বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। যুবতী পৌঁছনো মাত্রই বিবাহও করেন তাঁরা। সাক্ষী ছিলেন আত্মীয়-স্বজনের পাশাপাশি পরিবারও।

ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বি জেলার বলরামের গল্প। সিরাথু তহসিলের ফরিদগঞ্জের কাড়ার বাসিন্দা বলরামের বাবা লালু রাম ১০ বছর আগে মারা যান। এরপর বলরাম কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নেন। অপারেটরের ভিসা পেয়ে চার বছর আগে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে তাঁকে পাঠানো হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেখানে শিফট করার জন্য বলরামের বেতনও বাড়ানো হয়। দক্ষিণ আফ্রিকায় চাকরির সময় তিনি শ্রীলঙ্কার মধুশা জয়বংশীর সঙ্গে দেখা করেন। মধুশা জয়বংশী সেখানে কম্পিউটার পড়তে আসেন।

দু'জনের বন্ধুত্বের পর বলরাম শ্রীলঙ্কায় চলে যান

আরও পড়ুন

সাক্ষাতের পর, মধুষা এবং বলরামের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং উভয়েই একে অপরের খুব কাছাকাছি চলে আসেন। অন্যদিকে, মধুশা কোর্স শেষ করে শ্রীলঙ্কায় ফিরে গেলেও বলরাম তা জানতেন না। বলরাম কোচিং সেন্টার থেকে সব তথ্য নিয়ে সেখানকার কোম্পানির সহায়তায় শ্রীলঙ্কায় পৌঁছে যায়। প্রায় ৬ মাস পর আবার দেখা হয় দু'জনের। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। এরমাঝেই বলরাম আবার দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যান।

শ্রীলঙ্কায় আর্থিক সংকটের মাঝে কোর্ট ম্যারেজ

এদিকে শ্রীলঙ্কায় হঠাৎ অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয় এবং অশান্তি শুরু হয়। মধুশা দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকা তাঁর প্রেমিক বলরামকে এই তথ্য দেন, তারপর তিনি আবার বিমানে শ্রীলঙ্কায় পৌঁছন। শ্রীলঙ্কায় দু'জনেই কোর্ট ম্যারেজ করেন। এরপর ভারতে আসেন বলরাম। নিজেদের সম্পর্কের কথা পরিবারের সদস্যদের জানাযন।

Advertisement

পরিবার রাজি হলে, স্ত্রী মধুশা ২০ দিনের জন্য ট্যুরিস্ট ভিসা পান। ৮ মে কৌশাম্বীতে আসেন মধুশা। সামাজিকভাবে, বিয়ের প্রস্তুতি শুরু হয়। হিন্দু আচার-অনুষ্ঠানে এক জমকালো অনুষ্ঠানে দু'জনেই একে অপরের গলায় মালা পরিয়ে, সাত পাকে বাঁধা পড়েন।
 

Read more!
Advertisement
Advertisement