কর্মক্ষেত্রে জুনিয়রদের উপর দাদাগিরি চালায় সিনিয়ররা। এমন অভিযোগ মাঝে মধ্যেই শুনতে পাওয়া যায়। সেরকমই এক ঘটনায় সিনিয়রকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দিল কোম্পানি। ঘটনা গোয়ার। সেই সিনিয়র মাত্র ৫ দিন আগে ওই স্টার্ট আপে চাকরি শুরু করেছিলেন।
ওই স্টার্ট আপের প্রতিষ্ঠাতা যতীন সাইনি নিজেই গোটা ঘটনা লিঙ্কডিনে প্রকাশ্যে এনেছেন। তিনি লেখেন, 'একজন সিনিয়র আমাদের সঙ্গে কাজে যোগ দেন গত সোমবার। শুক্রবারই তাঁকে বরখাস্ত করতে হয়েছে। এটা একেবারেই গর্ব করার মতো ব্যাপার নয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিনও ছিল।'
ঠিক কী হয়েছিল? যতীন সাইনি জানান, শুক্রবার একটি ভিডিও কনফারেন্স চলছিল। সেখানে অনেকেই অংশগ্রহণ করেন। দলের একজন সিনিয়র সদস্য এক জুনিয়রকে লক্ষ্য করে বলে ওঠেন, 'বুদ্ধি কি বাড়িতে রেখে এসেছ? এটাই যদি তোমার কাজের নমুনা হয় তাহলে তোমার নতুন চাকরি খুঁজে নেওয়া উচিত। বুদ্ধিটা বাড়িতে রেখে না এসে অফিসে এনো। না হলে আসার দরকার নেই।'
সেই ভিডিও কলে উপস্থিত ছিলেন সাইনি নিজেও। তিনি গোটা কথোপকথন শোনেন। তারপর সেই সিনিয়রকে ব্যক্তিগতভাবে জানান, তিনি যেন আর এভাবে কথা না বলেন।
সাইনি লিখেছেন, 'আমি সেই কর্মীকে বলি, এভাবে কথা বলা একেবারেই ঠিক নয়। এভাবে কাউকে অপমান করা যায় না। শুক্রবার এসব আমি বরদাস্ত করব না। তাতে ছুটির দিনগুলো খারাপ কাটবে। আমরা আলোচনা করতে পারি, একে অপরকে পরামর্শ দিতে পারি। তবে এভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।'
সাইনি জানান, তিনি ভেবেছিলেন সিনিয়র কর্মীকে এই কথাগুলো বলার পর তিনি বুঝবেন। তবে হয় উল্টোটা। সাইনি লেখেন, 'আমি সেই কর্মীর সঙ্গে প্রায় ঘণ্টাখানেক কথা বলি। তবে তিনি আমাকে বলে বসেন, এভাবে কোম্পানির উন্নতি হবে না। লোক নিয়োগে ভুল হয়েছে। তার খেসারত দিতে হচ্ছে।'
সাইনির সেই পোস্ট এখন ভাইরাল। তাঁকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। একজন লিখেছেন, 'আপনাকে কুর্নিশ। সব মালিকদের আপনার থেকে শেখা উচিত। কোনও কোনও ক্ষেত্রে শুধু খারাপ ম্যানেজারের জন্য কোম্পানির অনেক ক্ষতি হয়ে যায়।'
আর এক নেটিজেন লিখেছেন, 'অপমান করলে কর্মীর মনোবল ভেঙে যায়। তিনি আর কোনওদিন মনোবল জুগিয়ে কাজ করতে পারেন না। তাঁকে ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়।'