আজানের জন্য মসজিদে লাউডস্পিকার ব্যবহার করলে শব্দ দূষণ হয় না। মঙ্গলবার এমনই পর্যবেক্ষণ গুজরাত হাইকোর্টের। মসজিদে লাউডস্পিকার বাজানো নিষিদ্ধ করার জন্য একটি জনস্বার্থ মামলা খারিজ করার সময় এই পর্যবেক্ষণ জানায় গুজরাত হাইকোর্ট।
গুজরাত হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সুনিতা আগরওয়াল এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ পি মেইয়ের সমন্বয়ে গঠিত একটি ডিভিশন বেঞ্চ পিটিশনটিকে 'সম্পূর্ণ ভুল ধারণা' বলে অভিহিত করে। বলা হয়, 'মানুষের গলায় দেওয়া আজান' কীভাবে ডেসিবেলের (শব্দের মাত্রা) অনুমোদিত সীমা ছাড়াতে পারে এবং শব্দ দূষণ ঘটাতে পারে, তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না।
'আমরা বুঝতে পারছি না যে সকালে লাউডস্পিকারের মাধ্যমে আজান দেওয়া মানুষের কণ্ঠ কীভাবে শব্দ দূষণের মাত্রা পর্যন্ত ডেসিবেলে পৌঁছাতে পারে এবং জনসাধারণের ব্যাপকভাবে স্বাস্থ্যের কীভাবে ক্ষতি হয়,' বলে আদালত।
বজরং দলের নেতা শক্তিসিংহ জালা এই পিটিশন দায়ের করেছিলেন। তিনি দাবি করেন, লাউডস্পিকারের মাধ্যমে আজান বাজানোর ফলে 'শব্দ দূষণ' ঘটায়। এতে জনসাধারণের, বিশেষ করে শিশুদের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত হয়। অন্য আরও অসুবিধা হয়৷
'আপনার মন্দিরে, ঢোল ও বাদ্য সহযোগে সকালের আরতিও ভোর তিনটায় শুরু হয়। এতে কি কারো কোনও আওয়াজ হয় না? ঘন্টার শব্দ কি শুধু মন্দির চত্বরে থাকে? মন্দিরের বাইরে শব্দ যায় না?' শুনানির সময় আদালত আবেদনকারীর আইনজীবীর কাছে এর উত্তর জানতে চান।
বেঞ্চ জানায়, 'এই ধরনের পিআইএল-এ মদত দেওয়া হবে না।' এটি বছরের পর বছর ধরে চলে আসা বিশ্বাস এবং অভ্যাস। সেটাও ৫-১০ মিনিটের জন্য,' উল্লেখ করে আদালত।
শুনানির সময়, আদালত আরও জানায়, আজান দিনের বিভিন্ন সময়ে দেওয়া হয়।
বেঞ্চ বলে, শব্দ দূষণ পরিমাপ করার জন্য একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি রয়েছে। কিন্তু আবেদনকারী কোনও নির্দিষ্ট এলাকার জন্য এই ধরনের কোনও তথ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি প্রমাণ করতে পারেননি যে দশ মিনিটের আজানের জন্য শব্দ দূষণ হয়। তিনি আরও উল্লেখ করেন, আবেদনকারীর প্রদত্ত একমাত্র যুক্তি এই যে, যেখানে লাউডস্পিকারের মাধ্যমে আজান হয়, সেখানে বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং ধর্মের লোকেরা আশেপাশে বাস করেন এবং এতে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি এবং অসুবিধা হয়।