জ্ঞানবাপী মসজিদে শিবপুজোর অনুমতি দেওয়া হোক। এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করল শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মুক্তি দল। তাদের বক্তব্য, জ্ঞানবাপী মসজিদে ওজুখানায় শিব লিঙ্গ মিলেছে। সাংবিধানিক অধিকার মেনেই সেখানে পুজো করার অনুমতি দিক আদালত।
আবেদনকারী জানান,'আদালতের নির্দেশে শিব লিঙ্গকে সংরক্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু পুজো করায় তো বাধা নেই। শিব লিঙ্গের কাছে ওজু করা হচ্ছে। এটা শিবভক্তদের জন্য বেদনাদায়ক। তাঁর যুক্তি, দেবমূর্তি চিরকাল মূর্তি ও মন্দিরই থাকে। ধ্বংস করা হলেও তার চারিত্রিক বদল হয় না। নষ্ট হয় না তার পবিত্রতা। শিব মন্দির ভেঙেই তৈরি হয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। তাই শিবলিঙ্গকে পুজোর অধিকার রয়েছে।'
২০২১-এর অগস্টে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর মা শৃঙ্গার গৌরী (ওজুখানা ও তহখানা) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পুজোর অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী দায়রা আদালতে। এর পর দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর নিযুক্ত কমিটি মসজিদের অন্দরে সমীক্ষা ও ভিডিয়োগ্রাফির নির্দেশ দেন। গঠন করা হয় পর্যবেক্ষক দল। মে মাসে বারাণসী আদালতে তারা জানায়, সমীক্ষায় শিবলিঙ্গ পাওয়া গিয়েছে। গত ২০ মে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার শুনানির দায়িত্ব পায় বারাণসী জেলা আদালত।
জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি আদালতকে জানিয়েছে, ব্রিটিশ জমানাতেও মন্দির গড়ার দাবি উঠেছিল। ১৯৩৭ সালে বারাণসী আদালত নমাজের অধিকার চালু রাখে। ওই রায় ১৯৪২ সালে বহাল রাখে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। পাশাপাশি এ জমি তাদেরই বলে দাবি করেছে কমিটি। তাদের যুক্তি, কাশী বিশ্বনাথ ধাম করিডর তৈরির জন্য মন্দির ট্রাস্ট মসজিদের সামনের জমি নিয়েছিল। সেজন্য উত্তরপ্রদেশ সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছিল।
আরও পড়ুন- অশোক স্তম্ভ বানাতে টানা ৩ মাস আলিপুর চিড়িয়াখানায় যান দীনানাথ