আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (এএসআই) ৩০ সদস্যের একটি দল সোমবার বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে একটি সমীক্ষা শুরু করেছে। মসজিদটি কোনো প্রাচীন হিন্দু মন্দিরের উপরে নির্মিত হয়েছে কিনা তা নির্ধারণ করা তাদের লক্ষ্য। সমীক্ষাটি আজ মসজিদ পরিচালনা কমিটির দায়ের করা একটি পিটিশনের ওপর সুপ্রিম কোর্টের শুনানির ভিত্তিতে।
পিটিশনটি এলাহাবাদ হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে, যা জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে পাঁচ হিন্দু মহিলার উপাসনারঅধিকারকে বহাল রাখে। সোমবার ভোর থেকেই এই কাজ শুরু হয়েছে জানিয়েছেন বারাণসীর জেলাশাসক। সমীক্ষার কাজ চলার সময় মসজিদ চত্বরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য আঁটসাঁট করা হয়েছে নিরাপত্তা।
রবিবারই এএসআই-এর একটি দল সমীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নিয়ে বারাণসীতে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। এই মামলার সঙ্গে যুক্ত একটি অংশের তরফে জানা গিয়েছে, সমীক্ষা সংক্রান্ত বারাণসী জেলা আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করেছে জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি।
শুক্রবার বারাণসী জেলা আদালত এএসআই-কে জ্ঞানবাপী মসজিদে সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিল। তবে বিতর্কিত ওজুখানায় পাওয়া তথাকথিত ‘শিবলিঙ্গ’ এবং সন্নিহিত এলাকায় এখনই কোনও সমীক্ষা হবে না বলে জানিয়েছিল আদালত। আগামী ৪ অগস্টের মধ্যে সমীক্ষা সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। পুরাতাত্ত্বিক পরীক্ষার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিল চার হিন্দু মহিলা ভক্তের তরফে। অন্য দিকে, মসজিদ চত্বরে কোনও রকম সমীক্ষার বিরোধিতা করেছিল ‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি’।
সেই সমীক্ষা এবং ভিডিয়োগ্রাফির কাজ শেষ হওয়ার পরে ২০২২ সালের ২০ মে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার শুনানির দায়িত্ব পায় বারাণসী জেলা আদালত। পর্যবেক্ষক দলের ভিডিয়োগ্রাফির রিপোর্টে মসজিদের ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গের মতো আকৃতির যে কাঠামোর খোঁজ মিলেছে, সেটি আসলে ফোয়ারা বলে মুসলিম পক্ষ দাবি করে। অন্য দিকে, হিন্দুপক্ষের তরফে প্রাপ্ত নমুনাগুলির কার্বন ডেটিং পরীক্ষার আবেদন জানানো হয়েছিল।