কেরলে মালাপপুরমে ফিলিস্তিনের সমর্থনে এক সমাবেশে হামাস নেতা খালেদ মাশায়েলের ভার্চুয়াল উপস্থিতি ও তাঁর ভাষণ নিয়ে তোলপাড়। বিজেপির তরফে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। হামাস নেতা খালেদ মাশায়েল শুক্রবার মালাপপুরমে সলিডারিটি ইয়ুথ মুভমেন্ট আয়োজিত যুব প্রতিরোধ সমাবেশে অংশ নেন। এই সলিডারিটি ইয়ুথ মুভমেন্ট হল জামায়াতে ইসলামির যুব শাখা। সেখান থেকে স্লোগান দেওয়া হয়, 'বুলডোজার হিন্দুত্ব এবং বর্ণবাদকে উপড়ে ফেলা হোক।'
বিজেপি রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রন বলেন, 'কেরলে সংহতি কর্মসূচিতে হামাস নেতা খালেদ মাশায়েলের ভার্চুয়ালি উপস্থিতি উদ্বেগজনক। মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন কোথায় ? কেরল পুলিশ কোথায়? 'সেভ প্যালেস্টাইন'-এর আড়ালে তারা সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হামাস এবং তার নেতাদের 'যোদ্ধা' বলে উল্লেখ করেছে। যা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।'
কোঝিকোড়েও গাজার সমর্থনে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই রাজ্যে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউডিএফ) প্রধান সহযোগী আইইউএমএলও গাজায় নারী ও শিশুসহ হত্যার নিন্দা করেছে। বৃহস্পতিবার উত্তর কোঝিকোড়ে এক বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়। হাজার হাজার আইইউএমএল সমর্থক প্যালেস্টাইন সলিডারিটি হিউম্যান রাইটস র্যালিতে অংশ নেন। যার উদ্বোধন করেন আইইউএমএল নেতা পানাক্কাদ সৈয়দ সাদিক আলি শিহাব থাঙ্গাল। এই সমাবেশ থেকে কংগ্রেস নেতা শশী থারুর ইজরায়েলে হামলার নিন্দা করে। যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এরপর, 'মহল এমপাওয়ারমেন্ট মিশন' (MEM), কেরলে মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করা একটি সংস্থা শুক্রবার সেখানে অনুষ্ঠিত হতে চলা ফিলিস্তিন সংহতি কর্মসূচি থেকে শশী থারুরকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
গত ৭ অক্টোবর হামাস ইজরায়েলের আকাশ, জল এবং স্থলে আক্রমণ করে। এই হামলায় শতাধিক ইজরায়েলি নাগরিক মারা যায়। এরপর থেকে গাজা উপত্যকায় ইজরাইল ক্রমাগত বোমা হামলা চালাতে শুরু করে। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনের হামাস যোদ্ধারাও চুপ করে থাকেনি। তারা এখনও তিনটি ফ্রন্ট থেকে ইজরায়েল আক্রমণ করছে। লেবানন, সমুদ্র সংলগ্ন এলাকা এবং মিশর সংলগ্ন দক্ষিণ গাজা থেকে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হচ্ছে। এই হামলার পর ইসরাইল হামাসকে নির্মূল করার অঙ্গীকার করেছে। গাজা উপত্যকায় হামাসের অবস্থানে ক্রমাগত বোমাবর্ষণ করছে ইজরায়েল। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত সাত হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, এর মধ্যে ৩ হাজার শিশু। যুদ্ধের কারণে লাখ লাখ মানুষ গাজা ছেড়ে চলে গেছে।