Advertisement

Hamirpur : এ দেখাই শেষ দেখা! প্রেমিককে পিটিয়ে খুন, আত্মহত্যা প্রেমিকার

উত্তরপ্রদেশের হামিরপুর জেলায় এক মর্মান্তিক প্রেমের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে গোটা এলাকা। বিয়ের আগে শেষবারের মতো প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে খুন হতে হলো এক যুবককে। পিটিয়ে হত্যা করা হয় তাকে, আর প্রেমিকের মৃত্যুসংবাদে ঘাড় কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে প্রেমিকা। বর্তমানে প্রেমিকা ও তাঁর কাকা, দু’জনেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

উত্তরপ্রদেশে চাঞ্চল্যকর ঘটনা।-ফাইল ছবিউত্তরপ্রদেশে চাঞ্চল্যকর ঘটনা।-ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 30 Oct 2025,
  • अपडेटेड 6:48 PM IST
  • উত্তরপ্রদেশের হামিরপুর জেলায় এক মর্মান্তিক প্রেমের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে গোটা এলাকা।
  • বিয়ের আগে শেষবারের মতো প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে খুন হতে হলো এক যুবককে।

উত্তরপ্রদেশের হামিরপুর জেলায় এক মর্মান্তিক প্রেমের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে গোটা এলাকা। বিয়ের আগে শেষবারের মতো প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে খুন হতে হলো এক যুবককে। পিটিয়ে হত্যা করা হয় তাকে, আর প্রেমিকের মৃত্যুসংবাদে ঘাড় কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে প্রেমিকা। বর্তমানে প্রেমিকা ও তাঁর কাকা, দু’জনেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

কি ঘটেছিল সেই রাতে?
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হামিরপুর জেলার মৌদহ থানা এলাকার পারচ্ছ গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। মৃত যুবকের নাম রবি (২০), বাড়ি বান্দার পাইলানিতে। রবির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক ছিল মনীষা (১৮) নামের এক তরুণীর। মনীষার বিয়ের আগে শেষবার দেখা করতে সে ওই গ্রামে আসে। কিন্তু দেখা করার আগেই ধরা পড়ে যায় সে।

প্রেমিকার পরিবার ও কিছু গ্রামবাসী রবিকে ধরে বেঁধে ফেলে। তারপর লাঠি দিয়ে তাকে মারধর শুরু হয়। প্রাণ বাঁচাতে রবি পাল্টা প্রতিরোধ করে এবং প্রেমিকার কাকা পিন্টু (৩৫)-কে ছুরিকাঘাত করে। রবি গুরুতর আহত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, রবি বারবার জল চাইছিল, কিন্তু কেউ তাকে সাহায্য করেনি। কিছুক্ষণ পরেই সে অচেতন হয়ে পড়ে এবং পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

প্রেমিকার আত্মহত্যার চেষ্টা
রবির মৃত্যুর খবর পেয়ে প্রেমিকা মনীষা শোকে ভেঙে পড়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের গলা কেটে ফেলে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মৌদহ কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়, পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে কানপুর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মনীষা ও তাঁর কাকা দু’জনেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক।

খুনের মামলা দায়ের, তদন্ত শুরু
হামিরপুরের পুলিশ সুপার ডঃ দীক্ষা শর্মা জানান, মৃত রবির বাবা উমাশঙ্করের অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন, প্রেমিকার বাবা পুত্তন, কাকা মুকেশ, আত্মীয় বাল্লি ওরফে লাভলেশ, ঠাকুমা কাল্লি এবং খুড়তুতো ভাই সুবেদার ওরফে মুন্নি। পুলিশ ইতিমধ্যেই মামলার তদন্ত শুরু করেছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
 

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement