হরিয়ানার নুহতে হিংসার প্রতিবাদে বুধবার দিল্লি-NCR-এ বিক্ষোভ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলের। পুলিশের তৎপরতায় বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণভাবে হয়। তবে ওই দুই দল আবার মিছিল করুক এমনটা চাইছে না অনেকেই। ফলে হরিয়ানার হিংসা মামলা পৌঁছল সুপ্রিম কোর্টে।
দিল্লি-এনসিআরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং বজরং দলকে সমাবেশ করা থেকে বিরত রাখার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যেই পিটিশন দায়ের হয়। সিনিয়র অ্যাডভোকেট সিইউ সিং এই পিটিশনটি দায়ের করেছেন। অবিলম্বে শুনানির অনুরোধ করেন।
সিওয়াই সিং প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানান, মামলার যেন দ্রুত শুনানি হয়। জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, 'আমরা সাংবিধানিক বেঞ্চে বসে আছি। জরুরি বিষয়ে দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা করেছি। আপনারা রেজিস্ট্রারের কাছে যান।'
শিগগিরই সুপ্রিম কোর্টে আবেদনের শুনানি হবে
CJI বলেন, এই মামলার শুনানির জন্য রেজিস্ট্রার প্রাথমিক শুনানির জন্য একটি তালিকা তৈরি করবেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, দ্রুত মামলার শুনানি হবে।
কেন হিংসা হরিয়ানায় ?
সোমবার, ৩১ জুলাই, হরিয়ানার মেওয়াত অঞ্চলে বজরং দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ব্রিজ মণ্ডল জলাভিষেক যাত্রা বের করে। সেই সময় নুহ জেলায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। খবরে প্রকাশ, নুহের খেদলা মোড়ের কাছে কয়েকজন সেই জলাভিষেক যাত্রাতে বাধা দেয়। সমাবেশে পাথরও ছোড়া হয়। একটি বা দুটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। কয়েকজন আহত হন। তবে কতজন আহত, পুলিশ তা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
এদিকে হিংসার জেরে ক্রমাগত অশান্তি ছড়াতে শুরু করে সেই জেলায়। ২ অগাস্ট পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ জনগণকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান। পাথর নিক্ষেপের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের অনুমতি নিয়েই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা সেই শোভাযাত্রা বের করেছিলেন।
এখন কী অবস্থা ?
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) মেওয়াত অঞ্চলে সংঘর্ষের বিরুদ্ধে বুধবার বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে। বিকেল ৪ টেয় মানেসারের ভীষম দাস মন্দিরে মহাপঞ্চায়েতের ডাক দিয়েছে ভিএইচপি এবং বজরং দল। নয়ডায় একটি বড় সমাবেশও করার কথা তাদের। ভিএইচপি-র প্রচার প্রধান রাহুল দুবে বলেছেন,প্রতিবাদ মিছিলটি সেক্টর 21A-এর নয়ডা স্টেডিয়াম থেকে সেক্টর 16-এর রজনীগন্ধা চকের দিকে যাবে। সেখানে একটি কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হবে।
এদিকে এই হিংসার জেরে, দিল্লিকে সতর্ক করা হয়েছে। গুরুগ্রাম পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় মনোযোগ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মানুষতে। কোনও অসুবিধে হলে ১১২ নম্বরে ডায়াল করার আহ্বান জানিয়েছে। এদিকে হরিয়ানায় সাম্প্রতিক হিংসার কারণে র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স নেমেছে। তারা মার্চ করছে।