Advertisement

Haryana Violence: গাড়ি জ্বলছে-মৃত্যু-স্কুল বন্ধ-কার্ফু-ইন্টারনেট সাসপেন্ড, হরিয়ানায় ঠিক কী ঘটেছে?

একাধিক জেলায় কার্ফু চলছে। পুলিশি টহল। বহু গাড়ি, মোটরবাইকে আগুন জ্বলছে। এখনও পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। নুহ, ফরিদাবাদ ও গুরুগ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

হরিয়ানায় হিংসা
Aajtak Bangla
  • গুরুগ্রাম,
  • 01 Aug 2023,
  • अपडेटेड 11:04 AM IST
  • নুহ, ফরিদাবাদ ও গুরুগ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
  • ঠিক কী ঘটেছে হরিয়ানায়?
  • ইন্টারনেট বন্ধ, বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুলও

দীর্ঘ দিন ধরে অশান্ত মণিপুর। মৃত্যু, রক্তাক্ত। এহেন সময়ে হিংসার কবলে আরও এক রাজ্য। এবার হরিয়ানা। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, আজ অর্থাত্‍ মঙ্গলবার স্কুল বন্ধ করে দিতে হয়েছে। একাধিক জেলায় কার্ফু চলছে। পুলিশি টহল। বহু গাড়ি, মোটরবাইকে আগুন জ্বলছে। এখনও পর্যন্ত ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। নুহ, ফরিদাবাদ ও গুরুগ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

নুহতে হিংসা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই হোম গার্ড সংঘর্ষে প্রাণ হারায়। গুরুগ্রামে ছড়িয়ে পড়ে যেখানে চারটি গাড়ি এবং একটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। একের পর এক গাড়িতে আগুন, এলাকায় পাথর বৃষ্টি, কার্যত রণক্ষেত্র হরিয়ানা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় কিছু বাড়িঘর, দোকান, যানবাহন। হামলার মুখে পড়ে ধর্মস্থানও।

ঠিক কী ঘটেছে হরিয়ানায়?

যাবতীয় হিংসার সূত্রপাত সোমবার। হরিয়ানার নুহতে বিশ্বহিন্দু পরিষদের একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রা বেরোয়। অভিযোগ, একদল ব্যক্ত ওই শোভাযাত্রা বন্ধ করার চেষ্টা করে। সেই থেকেই শুরু হয়। খুব দ্রুত হিংসা ছড়িয়ে পড়ে হরিয়ানার বিভিন্ন জেলায়। পাথর ছোড়া শুরু হয়। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ। একের পর এক গাড়ি, বাইকে আগুন ধরানো শুরু হয়। আজ অর্থাত্‍ মঙ্গলবারও একাধিক রাস্তা বন্ধ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ধর্মীয় শোভাযাত্রায় অংশ নিতে আসা বহু মানুষ কাছেই একটি মহাদেব মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের গাড়িগুলো বাইরে রয়েছে, সেগুলির উপরে হামলা চালাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশ এখনও ভিড় সরাতে পারেনি বা নিরাপত্তা দিতে পারেনি আটকে থাকা ওই মানুষজনদের।

ইন্টারনেট বন্ধ, বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুলও

হিংসা ছড়াত শুরু করায়, গুরুগ্রাম ও ফরিদাবাদে সব স্কুল আজ বন্ধ রাখা হয়ছে। গুরুগ্রাম ও নুহতে ১৪৪ ধারা চলছে। মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা গোটা নুহ জেলায় বন্ধ থাকছে ২ অগাস্ট পর্যন্ত। হরিয়ানা সরকার জানিয়েছে, সাম্প্রদায়িক হিংসা যাতে ছড়ায়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা। গুরুগ্রামের জেলাশাসকের কথায়, আমরা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করেছি, আজ যেন বন্ধ রাখা হয়। 

Advertisement

নুহতে শিব মন্দিরে আশ্রয় নেওয়া প্রায় আড়াই হাজার মানুষকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। হরিয়ানার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল ভিজ জানান, গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে তৈরি হওয়া হিংসায় আশ্রয় নিতে বহু মানুষ শিব মন্দিরে চলে যান।

হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনায় তার দুঃখ প্রকাশ করেন এবং রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার জন্য জনসাধারণের কাছে আবেদন করেছেন। 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement