Advertisement

Himachal: হিমাচলে প্রকৃতির তাণ্ডব চলছে, মৃত্যু বাড়ছে লাফিয়ে, নিখোঁজ বহু, কী পরিস্থিতি?

হিমাচল প্রদেশে লাগাতার মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানের জেরে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে জনজীবন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে মোট ১১টি মেঘভাঙা বৃষ্টির ঘটনা, চারটি হড়পা বান ও একটি বড় ধসের খবর পাওয়া গিয়েছে। সবচেয়ে বিপর্যস্ত মান্ডি জেলা, যেখানে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের, নিখোঁজ অন্তত ৩৪ জন।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 02 Jul 2025,
  • अपडेटेड 12:45 PM IST
  • হিমাচল প্রদেশে লাগাতার মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানের জেরে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে জনজীবন।
  • গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে মোট ১১টি মেঘভাঙা বৃষ্টির ঘটনা, চারটি হড়পা বান ও একটি বড় ধসের খবর পাওয়া গিয়েছে।

হিমাচল প্রদেশে লাগাতার মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানের জেরে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে জনজীবন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যজুড়ে মোট ১১টি মেঘভাঙা বৃষ্টির ঘটনা, চারটি হড়পা বান ও একটি বড় ধসের খবর পাওয়া গিয়েছে। সবচেয়ে বিপর্যস্ত মান্ডি জেলা, যেখানে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের, নিখোঁজ অন্তত ৩৪ জন।

শুধু সোমবার সন্ধের পর মান্ডিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৫৪ মিলিমিটার ছাড়িয়েছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে বহু মানুষ আহত হয়েছেন, বহু পরিবার এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিভিন্ন জেলায় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি
মান্ডির পাশাপাশি কাংড়া, সোলান, সিরমৌর, কারসোগ, থুনাগ, পাণ্ডব শীলা, ধর জরোল এবং জোগিন্দরনগরের নেরি-কোটলা এলাকা থেকেও একাধিক মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কমপক্ষে ৩০টি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে।

উদ্ধার কাজ চলছে জোরকদমে
মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে ব্যাপক উদ্ধার অভিযান। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত গোহার, কারসোগ এবং থুনাগ ব্লকে মোতায়েন রয়েছে এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ-এর দুটি করে দল। সোমবার ও মঙ্গলবার মিলিয়ে মান্ডি জেলা থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে ৩১৬ জন। হমিরপুরে ৫১ জন এবং চাম্বা জেলায় ৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। রাজ্যজুড়ে মোট উদ্ধারকৃত মানুষের সংখ্যা ৩৩২।

পরিকাঠামোর বিপর্যয়
স্টেট এমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার (SEOC)-এর তথ্য অনুযায়ী, ধসে গিয়েছে ২৪টি বাড়ি ও ১২টি পশুর আস্তানা। একাধিক সেতু ও রাস্তা ভেঙে পড়েছে। সারা রাজ্যে মোট ৪০৬টি রাস্তা বন্ধ, যার মধ্যে শুধুমাত্র মান্ডিতেই বন্ধ ২৪৮টি। মান্ডিতে ৯৯৪টি ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ পরিষেবা কার্যত বন্ধ।

ড্যাম ও নদীতে জলস্তর উদ্বেগজনক
সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে মান্ডির পাণ্ডোহ জলাধার। জলস্তর পৌঁছেছে ২৯২২ ফুটে, বিপদসীমা ২৯৪১ ফুটের খুব কাছাকাছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ড্যাম থেকে ইতিমধ্যেই ছাড়া হয়েছে ১.৫ লক্ষ কিউসেক জল, যাতে বাঁধের উপর চাপ না পড়ে।

আবহাওয়ার নজিরবিহীন রূপ
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ১৯৭১ সালের পর এই প্রথম জুন মাসে হিমাচল প্রদেশে এত প্রবল বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়ার আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা, তাই রাজ্যজুড়ে জারি করা হয়েছে সতর্কতা।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement