প্রয়াগরাজ থেকে কেরলে নাবালিকা দলিত মেয়েদের জোর করে ধর্মান্তর ও জেহাদে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে ক্রমশ চাঞ্চল্য বাড়ছে। ভুক্তভোগী কিশোরীর অভিযোগে ধৃত দারক্ষা বানো ও মহম্মদ কাইফ পুলিশের জালে। মূল চক্রী তাজ মহম্মদ এখনও পলাতক। পুলিশের দাবি, এটি শুধুমাত্র একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং এর পেছনে সক্রিয় রয়েছে একটি সুসংগঠিত আন্তঃরাজ্য উগ্রপন্থী চক্র।
ধর্মান্তর প্রক্রিয়া ও জঙ্গি প্ররোচনার ছক
অভিযোগ, দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের টার্গেট করে টাকার লোভ বা বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রথমে তাদের ধর্মান্তরিত করা হয়। তারপর কিছু ‘অজ্ঞাত ও সন্দেহভাজন’ ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় ঘটিয়ে ধাপে ধাপে জঙ্গি কার্যকলাপের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় যেমন প্রমাণ মিলেছে, ১৫ বছরের নাবালিকা মেয়েটিকে প্রয়াগরাজ থেকে দিল্লি ঘুরিয়ে কেরালার ত্রিশুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পথে তার উপর যৌন নিগ্রহ চালানো হয় বলেও অভিযোগ।
ত্রিশুরে পৌঁছনোর পর কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মান্তর এবং সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণের জন্য চাপ দেওয়া হয়। আতঙ্কিত কিশোরী কোনওভাবে পালিয়ে গিয়ে মাকে ফোন করলে, কেরালা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে শিশু কল্যাণ কমিটির হাতে তোলে। এরপরই শুরু হয় পুলিশের তৎপরতা।
তাজ মোহাম্মদের খোঁজে অভিযান
এই ঘটনার মূল সূত্রধর তাজ মহম্মদ ফুলপুরের বাসিন্দা হলেও বর্তমানে কেরলে রয়েছে। ধৃত দারক্ষার সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। ফলে উত্তরপ্রদেশ ও কেরালা পুলিশের যৌথভাবে তাকে ধরতে অভিযান চলছে।
পুলিশ সূত্রে অনুমান ও তদন্তের অগ্রগতি
ডিসিপি কুলদীপ সিং গুণওয়াত জানিয়েছেন, এই চক্রের নেটওয়ার্ক বহু রাজ্যে ছড়ানো। ইতিমধ্যেই তিনটি আলাদা তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে, যারা নেটওয়ার্কটি উন্মোচনের কাজ করছে। ধৃতদের মোবাইল ফোন ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
চোখে জল আনা বাস্তবতা
শুধু এই ঘটনাই নয়, উত্তরপ্রদেশ, কেরালা ও মহারাষ্ট্রের নানা প্রান্তে এই ধরনের চক্রের সন্ধান মিলেছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। দরিদ্র, অসহায় কিশোরীদের জেহাদে প্ররোচিত করার চেষ্টা এই দেশবিরোধী শক্তিগুলির ভয়ঙ্কর উদ্দেশ্যের ইঙ্গিত বহন করে।