ভারতের বিরাট সাফল্য। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ৯ জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করল ভারত। পাকিস্তান সেনার তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের এই হামলার জেরে ৬ জায়গাতে ২৪টি হামলা হয়েছে। যার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন ৮ জন। আহত ৩৩।
সূত্রের খবর, ভারতীয় বিমান বাহিনীর উন্নত যুদ্ধবিমান যেমন মিরাজ-২০০০ এবং সুখোই-৩০ এমকেআই বাহাওয়ালপুর, কোটলি এবং মুজাফফরাবাদে জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এই এলাকাগুলিতে জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটি ছিল।
রাফালের ভূমিকা
সূত্রের খবর, এই হামলায় রাফাল যুদ্ধবিমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল এবং হ্যামার প্রিসিশন-গাইডেড গোলাবারুদ দিয়ে সজ্জিত রাফাল হামলা চালায় জঙ্গিঘাঁটিগুলোতে। সূত্রের আরও দাবি, ভারতীয় আকাশসীমার মধ্যে থেকেই এই হামলা চালানো হয়। রাফাল লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম হয়।
সূত্রের দাবি, ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌসেনা ও বায়ুসেনা একত্রিতভাবে এই অভিযান চালায়। পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই পাকিস্তানে সক্রিয় হয়ে যায় ভারতীয় গোয়েন্দারা। সেখান থেকে তথ্য আসতে শুরু করে। জঙ্গিদের গতিবিধি পর্যালোচনা করা হয়। তারপরই কোথায় কোথায় হামলা করা হবে তার পরিকল্পনা করা হয়। সেই মতো হামলা চালানো হয়।
রাত ১.৩০টার দিকে এই অভিযান চালানো হয়। এই হামলাগুলি বাহাওয়ালপুর, কোটলি এবং মুজাফফরাবাদে করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই বিমান হামলার উদ্দেশ্য জঙ্গিদের জবাব দেওয়া। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যুদ্ধের কোনও উদ্দেশ্য ভারতের নেই।
সূত্রের খবর, এই গোটা অপারেশন প্রধানমন্ত্রী নিজে পর্যবেক্ষণ করেছেন। অপারেশনের আগে অজিত দোভাল প্রায় ১৫ টি মিটিং করছেন।
এদিকে ভারতের স্ট্রাইকের পর ভারতীয় সেনা জানিয়েছে পুঞ্চ-রাজৌরি এলাকার ভিম্বের গলিতে কামান থেকে গোলাবর্ষণ করছে পাকিস্তান। ভারতীয় সেনা তার জবাব দেওয়া শুরু করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে বায়ুসেনার সমস্ত ইউনিটকে তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের তরফে কোনও রকম হামলা চালানো হলে যেন তার জবাব দেওয়া যেতে পারে।