'অপারেশন সিঁদুর' নিয়ে বড় দাবি করলেন বায়ুসেনার চিফ মার্শাল অমরপ্রীত সিং। তিনি বলেন, 'সার্ফেস টু সার্ফেস এয়ার মিসাইল সিস্টেম ৫টি পাকিস্তানি জেট ধ্বংস করেছে। সঙ্গে নামানো হয়েছে নজরদারি চালানো ওদের একটি বড় সামরিক বিমানও।' সবক'টিই ধ্বংস হয় ভারতের S-400 এর মাধ্যমে। ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতি পর এই প্রথম 'অপারেশন সিঁদুর' নিয়ে এত বড় তথ্য প্রকাশ্যে আনলেন সেনা কর্তা।
বেঙ্গালুরুতে শনিবার চিফ এয়ার মার্শাল এলএম কাতার লেকচারে অংশ নিয়েছিলেন বায়ুসেনা প্রধান এপি সিং। তিনি ফাঁস করেন, '১০ মে পাকিস্তানের সেনাঘাঁটিগুলিকে যখন ভারত টার্গেট করেছিল, সে সময়েই জেকবাবাদ এয়ারবেসে ধ্বংস করা হয় দাঁড়িয়ে থাকা একটি F-16 বিমান।'
উল্লেখ্য, গত মে মাসে চার দিন ধরে সামরিক উত্তেজনা চলেছিল ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে। বায়ুসেনা প্রধান বলেন, '৩০০ কিলোমিটার দূর থেকে হামলা করা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত ভূমি থেকে আকাশে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করার দিক থেকে এটিই সবচেয়ে বড় রেকর্ড।'
বায়ুসেনা প্রধান এপি সিং আরও জানান, এই ৬টি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানকে ধ্বংস করা সম্ভব হয়েছে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘S-400’ ব্যবহারের জন্যই। এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাশিয়ার তৈরি। বর্তমানে উদ্ভূত কূটনৈতিক পরিস্থিতিতে রাশিয়ার তৈরি এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাফল্য বর্ণনাও যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এই ৬টি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের পাশাপাশি আকাশপথে পাক সামরিক ঘাঁটিতে হামলার সময়েও বেশ কিছু পাকিস্তানি বিমানে ক্ষতি হয়েছে বলে জানান বায়ুসেনা প্রধান অমরপ্রীত সিং। বিশেষ করে পাকিস্তানের জাকবাবাদে সামরিক ঘাঁটির কথাও উল্লেখ করেন তিনি। সেখানে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের হ্যাঙ্গার ছিল। ওই হ্যাঙ্গারটির অর্ধেকই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বলে দাবি তাঁর। ওই হ্যাঙ্গার প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, 'আমি নিশ্চিত, ওই হ্যাঙ্গারের ভিতরে কিছু বিমান ছিল, যেগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।'