
ফের ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারি। এ বার সর্তক থাকতে বলা হয়েছে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জকে। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ বা আইএমডি জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে। এর তীব্রতা বাড়তে পারে ৪ নভেম্বর। সেই কারণেই আন্দামান ও নিকোবরকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে একাধিক নিষেধাজ্ঞা।
আইএমডির এক ঊর্ধ্বতন আধিকারিক জানান, ২ নভেম্বর সকাল ৮.৩০ মিনিটে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন মায়ানমার উপকূলে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে শুরু করে। তিনি বলেন, 'ঘূর্ণিঝড়ের সঞ্চালন গড় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫.৮ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি প্রথমে উত্তর এবং তার পর উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মায়ানমার-বাংলাদেশ উপকূল পৌঁছে যাওয়ার রয়েছে আশঙ্কা।'
কী প্রভাব পড়বে?
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আন্দামান সাগরের উপর ৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় গতিবেগ সহ ঝড়ো বাতাস বইতে পারে। তিনি আরও বলেন, '৪ নভেম্বর থেকে ঘূর্ণিঝড়টি তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে সমুদ্র উত্তাল থাকার রয়েছে আশঙ্কা।'
এই সতর্কতার পরিপ্রেক্ষিতে মৎস্যজীবীদের উত্তর আন্দামান সাগর বরাবর এবং তার বাইরে সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি নৌকা চালক, সমুদ্রে উপকূলে বসবাসকারী এবং পর্যটকদেরও চরম সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সমুদ্রে নানা ধরনের বিনোদনমূলক কাজ করতেও করা হয়েছে বারণ।
কেমন থাকবে পশ্চিমবঙ্গ?
ইতিমধ্যেই নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। আর এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এখন যা তাপমাত্রা, তার থেকে প্রায় ৩ ডিগ্রি কমে যেতে পারে।
যদিও বৃহস্পতিবার থেকে বদলে যেতে পারে আবহাওয়া। বাতাসে ফের জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আসলে বঙ্গোপসাগরের পূর্ব-মধ্য ও মায়ানমার উপকূল সংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ অবস্থান করছে। এটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলেই খবর। এই কারণে সমুদ্রে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। পাশাপাশি বুধবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়।
সেই কারণে সামান্য হলেও তাল কাটতে পারে শীতের। তবে ধীরে ধীরে হিমের আমেজ আবার ফিরতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।