
দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ড ঘটানো জঙ্গী উমর উন নবির এক চাঞ্চল্যকর ভিডিও সামনে এসেছে। এই ভিডিয়োতে গড়গড় ইংরেজিতে সে সুইসাইড বোম্বিং বা আত্মঘাতী বিস্ফোরণকে সমর্থন করেছে।
এই ভিডিওতে জঙ্গি উমরকে ক্যামেরার সামনে একাই দেখা গিয়েছে। সেখানে সে জানায়, সুইসাইড বোম্বিংকে এখনও ঠিক করে বোঝাই হয়নি। নিজের শার্টে ল্যাপেল লাগিয়ে সে বলে, 'মানুষ এটা বুঝতেই পারে না যে সাধারণ বোমা বিস্ফোরণ এবং আত্মঘাতী বিস্ফোরণের ধারণাটা ঠিক কী। এই নিয়ে একাধিক ধারণা রয়েছে, রয়েছে অনেক মত পার্থক্য।'
সে আরও বলে, 'আসলে সুইসাইড বোম্বিংয়ের ক্ষেত্রে যেই সমস্যাটা দেখা যায় তা হল, মানুষ যখন জানতে পারেন তাঁর মৃত্যু কখন কোথায় হবে, তখন তিনি একটা কঠিন মানসিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যান। তখন তিনি ভাবতে শুরু করে দেন যে মৃত্যুই হল একমাত্র গন্তব্য।'
এখানেই থেমে না তার বক্তব্য, 'কিন্তু সত্যিটা হল এই ধরনের ভাবনা বা পরিস্থিতি কোনও গণতান্ত্রিক বা অন্য কোনও প্রক্রিয়ায় একবারেই গ্রহণ করা হয় না। কারণ, এগুলি সমাজের নিয়ম, নীতি এবং আইনের বিরোধীতা করে।'
আর এখানেই শেষ হয়ে যায় এই ভিডিও। যার ফলে সুইসাইড বোম্বিং নিয়ে তার পরবর্তী ভাবনা আর বোঝা যায়নি। যদিও এই ভিডিওতে জঙ্গি উমরকে খুবই শান্ত থাকতে দেখা যায়। পাশাপাশি তাকে কথা বলার সময় মাথা নাড়াতেও দেখা যায়।
বিস্ফোরণে যুক্ত
কিছুদিন আগেই দিল্লির লালকেল্লার মেট্রো স্টেশনের বাইরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। সেই বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ১৪ জন। আর সেই ব্লাস্টটা করেছিল উমর। একটি আই২০ গাড়িতে ছিল সে। সেই গাড়িতে ছিল বিস্ফোরক। যা ব্লাস্ট করে প্রাণ যায় এতগুলি নিরীহ মানুষের। এমন পরিস্থিতিতে ওই গাড়িতে থাকা ডিএনএ পরীক্ষা করে পুলিশ। তার থেকেই নিশ্চিত হওয়া যায় যে গাড়িতে উমরই ছিল।
কে এই ডাক্তার উমর?
পুলওয়ামার কোলি গ্রামের বাসিন্দা ছিল উমর। সে ভারত বিরোধী কাজের সঙ্গে অনেকদিন ধরেই জড়িত বলে অভিযোগ।
বিশেষত, শেষ কয়েক মাসে তার আচরণে বদল আসে বলে জানায় পুলিশ। ৩০ অক্টোবর সে নিজের ডিউটি সেরে আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে যায়। তারপর দিল্লিতে মসজিদ হয়ে সে লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে গাড়ি নিয়ে দাঁড়ায়। তারপরই হয় বিস্ফোরণ।