Advertisement

Ind vs pak match bcci aisa cup: 'পহেলগাঁও হামলার রক্ত শুকোয়নি...' ভারত-পাক ম্যাচ নিয়ে ক্ষুব্ধ সেই শুভমের স্ত্রী

২০২৫ সালের পহেলগাঁও হামলায় স্বামীকে হারানো ঐশ্বন্য দ্বিবেদী বিসিসিআই-এর সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আয়োজন নিয়ে তিনি কড়া প্রশ্ন তোলেন: 'এত দ্রুত কীভাবে সবাই ভুলে গেল পহেলগাঁওয়ের ২৬ শহীদকে?'

ক্ষুব্ধ শুভম দ্বিবেদীর স্ত্রী ঐশ্বর্য।-ফাইল ছবিক্ষুব্ধ শুভম দ্বিবেদীর স্ত্রী ঐশ্বর্য।-ফাইল ছবি
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 28 Jul 2025,
  • अपडेटेड 5:00 PM IST
  • ২০২৫ সালের পহেলগাঁও হামলায় স্বামীকে হারানো ঐশ্বর্য দ্বিবেদী বিসিসিআই-এর সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন।
  • এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আয়োজন নিয়ে তিনি কড়া প্রশ্ন তোলেন: 'এত দ্রুত কীভাবে সবাই ভুলে গেল পহেলগাঁওয়ের ২৬ শহীদকে?'

২০২৫ সালের পহেলগাঁও হামলায় স্বামীকে হারানো ঐশ্বন্য দ্বিবেদী বিসিসিআই-এর সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের আয়োজন নিয়ে তিনি কড়া প্রশ্ন তোলেন: 'এত দ্রুত কীভাবে সবাই ভুলে গেল পহেলগাঁওয়ের ২৬ শহীদকে?'

একটি ভিডিও বার্তায় ঐশ্বন্য বলেন, 'মাত্র তিন মাস হয়েছে হামলার। পাকিস্তানি সন্ত্রাসীরা যাদের হত্যা করল, আমরা কি এতটাই নিঃসাড় হয়ে গেছি যে এখন তাদের সাথেই খেলার মাঠে নামব? এটা লজ্জাজনক। বিসিসিআই কীভাবে এমন অনুমতি দিল?'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা শুনতাম মানুষ শোক ভুলে যায়, কিন্তু মাত্র ৩ মাসেই! এটা কল্পনাও করতে পারিনি। যারা নিরীহভাবে প্রাণ হারালেন, তাঁদের প্রতি এটা অসম্মান। আমি এই ম্যাচ সম্পূর্ণভাবে বয়কট করছি এবং অন্যদেরও আহ্বান জানাচ্ছি।'

পহেলগাঁও হামলার পটভূমি
২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের বৈসরান উপত্যকায় পাঁচজন পাকিস্তানি সন্ত্রাসী ২৬ জন পর্যটকের উপর গুলি চালায়। নিহতদের অধিকাংশই হিন্দু সম্প্রদায়ের হলেও, একজন খ্রিস্টান ও একজন স্থানীয় মুসলিমও ছিলেন। নিহতদের মধ্যে কানপুরের শুভম দ্বিবেদী অন্যতম।

‘হাশিম মুসা’ খতম, সেনার বদলার বার্তা
আজ ভারতীয় সেনাবাহিনী এই হামলার মূল চক্রী লস্কর-ই-তৈয়বার শীর্ষ নেতা হাশিম মুসাকে হত্যা করেছে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি শুধু পহেলগাঁও নয়, সোনামার্গ টানেল হামলার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। সেনার তরফে জানানো হয়েছে, এ ধরনের হামলার জবাব ভবিষ্যতেও আরও কঠিন হবে।

বিসিসিআই-এর ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক
বিসিসিআই এখনও এই নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি, তবে রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষের একাংশ বিসিসিআই-এর এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। অনেকে বলছেন, 'ক্রিকেট কূটনীতির নামে শহিদদের অপমান করা হচ্ছে।'

ঐশ্বন্যর বক্তব্য,
'এটা শুধু আমার স্বামীর কথা নয়। এটা সমস্ত শহিদ পরিবারদের অপমান। পাকিস্তানকে আর কোনোভাবেই স্বাভাবিকভাবে নেওয়া চলবে না।'

 

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement