পহেলগাঁও হামলার বদলা। পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব ভারতের। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে এয়ারস্ট্রাইক। জানা গিয়েছে,ভারতীয় বিমান বাহিনী ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। রাত ১.৩০টার দিকে এই অভিযান চালানো হয়। এই হামলাগুলি বাহাওয়ালপুর, কোটলি এবং মুজাফফরাবাদে করা হয়েছে। এই মিশনের নাম 'অপারেশন সিঁদুর'।
আপডেটস-
ভারতের অপারেশন সিঁদুরের পর পাক সেনাবাহিনী তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারত তাদের ৬টি স্থানে ২৪টি হামলা করেছে। যাতে ৮ জন নিহত, ৩৩ জন জখম হয়েছেন।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে সারা রাত ধরে অপারেশনের উপর নজর রাখছিলেন। এই অভিযানের অধীনে মোট ৯টি স্থান লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং সমস্ত আক্রমণ সম্পূর্ণরূপে সফল হয়েছিল।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন মোড় নিয়ে ভারত 'অপারেশন সিঁদুর শুরু করেছে। এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুসারে, 'অপারেশনে সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং নৌবাহিনীর যৌথভাবে অভিযান চালায়, যেখানে সন্ত্রাসী শিবিরগুলিতে আক্রমণ করার জন্য নির্ভুল অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।
পাকিস্তানে ভারতের বিমান হামলার পর, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেছেন যে আমরা প্রতিবেদনের মাধ্যমে তথ্য পেয়েছি, যদিও এই মুহূর্তে আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই। আমরা উন্নয়নগুলি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, 'আমাদের পদক্ষেপ সুনির্দিষ্ট, পরিমিত। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কোনও পরিকাঠামোয় আঘাত হানা হয়নি। লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ এবং আঘাত হানার প্রশ্নে ভারত উল্লেখযোগ্য সংযম দেখিয়েছে।'
প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য অনুসারে, ভারতীয় বায়ুসেনা জঙ্গিঘাঁটিগুলিকে আগে থেকেই টার্গেট করেছিল। PIB জানিয়েছে,'অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সচেতন ছিল বায়ুসেনা। কৌশলগতভাবে পরিকল্পনার পরই সুর্নিদিষ্টভাবে হামলা চালানো হয়।
পিআইবি আরও জানিয়েছে, বিমান হামলার সময় পাকিস্তানের সামরিক স্থানগুলোতে কোনও আঘাত করা হয়নি। তার কারণ, ভারতের এই অভিযানের আসল লক্ষ্য, সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করা। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সংঘাত বাড়ানো কখনও উদ্দেশ্য নয়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, 'আমাদের পদক্ষেপ সুনির্দিষ্ট, পরিমিত এবং অপ্ররোচনামূলক। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কোনও পরিকাঠামোয় আঘাত হানা হয়নি। লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ এবং আঘাত হানার প্রশ্নে ভারত উল্লেখযোগ্য সংযম দেখিয়েছে।'
পিআইবি স্পষ্ট করে দিয়েছে, পহেলগাঁওয়ে যে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানো হয়েছিল তারই জবাব হিসেবে এয়ারস্ট্রাইকের পদক্ষপ নিয়েছে ভারত। আবার সেনাবাহিনী তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, বদলা নিয়েছে ভারত। প্রতিশ্রুতি পালন করা হয়েছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছিলেন উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে ভারত। শত্রুদের যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। একই কথা শোনা গিয়েছিল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর গলাতেও। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তিন সেনা প্রধানের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকও করেছিলেন।