বুধবার ভারত বনধের ডাক দিয়েছে ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের যৌথ সংগঠন। ২৫ কোটিরও বেশি কর্মী বনধে শামিল হবেন। ব্যাঙ্ক, বিমা, ডাক বিভাগ, কয়লাখনি-সহ বিভিন্ন সেক্টর থেকে কর্মীরা বনধে অংশ নেবেন। যার ফলে অচল হতে পারে দেশ। সরকারের 'কর্মী বিরোধী, কৃষক বিরোধী ও কর্পোরেট বান্ধব' নীতির বিরোধিতায় ভারত বনধের ডাক দিয়েছে ওই যৌথ ফোরাম।
বনধে কোন কোন সেক্টরে প্রভাব পড়বে?
ইউনিয়ন নেতারা জানিয়েছেন, বনধের প্রভাব পড়বে ব্যাঙ্কিং, ডাক পরিষেবা, কয়লা খনি, কারখানা, রাজ্য পরিবহণে। দেশজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শামিল হবেন কৃষক ও গ্রামের কর্মীরাও।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের অমরজিৎ কউর বলেছেন, 'সরকার আমাদের ১৭ দফা দাবি উপেক্ষা করেছে এবং গত ১০ বছরে বার্ষিক শ্রমিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়নি।' বনধকে সমর্থন জানিয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা।
বনধে কী কী খোলা থাকবে?
* স্কুল, কলেজ, বেসরকারি অফিস খোলা থাকছে। কিন্তু বনধ কর্মসূচির জেরে যান চলাচল বিঘ্নিত হতে পারে।
*রেল অবরোধ হতে পারে। ফলে সমস্যায় পড়তে পারেন নিত্যযাত্রীরা। যদিও দেশজুড়ে রেল ধর্মঘটের কোনও পরিকল্পনা নেই। তবে স্থানীয় স্তরে অবরোধের কারণে বিঘ্নিত হতে পারে পরিষেবা।
* জরুরি পরিষেবা, অ্যাম্বুল্যান্সকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
বনধে কী কী বন্ধ থাকবে?
ব্যাঙ্ক, ডাক, পরিষেবা বিঘ্নিত হবে বনধে। যদিও বনধ আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেনি ব্যাঙ্কিং ইউনিয়নগুলি। তবে সমবায় ব্যাঙ্কগুলি বনধে অংশ নিতে পারে। ফলে বিঘ্নিত হতে পারে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা। সরকারি ও বেসরকারি কর্মীরা বনধে অংশ নিতে পারেন। ফলে এর প্রভাব বড় আকারে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।