অরুণাচলের তাওয়াংয়ে প্রকাশ্যে এসেছে ভারত ও চিন সেনা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের খবর। ঘটনায় উভয় পক্ষেরই বেশ কয়েকজন সেনা কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। পিটিআই-এর একটি রিপোর্টে লেখা দাবি করা হয়েছে চিনের আক্রান্তের সংখ্যাটা বাড়তে পারে।
সূত্রের খবর, প্রায় ৩০০ চিনা সেনা ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। তবে ভারতীয় সেনার তৎপরতায় তা ব্যর্থ হয়। স্পাইকড ক্লাবস ও লাঠি নিয়ে হামলা চালায় প্রায় ২০০ চিনা সেনা। তার ভারতীয় সেনা ছাউনিটি সেখান থেকে সরিয়ে ফলতে চায়। যদিও সাহসিকতার সঙ্গে তা প্রতিহত করেন ভারতীয় সেনা বাহিনীর জওয়ানরা। কিছুক্ষণ পরেই অবশ্য পিছু হটে উভয় পক্ষই। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, সংঘর্ষে অন্তত ছয় ভারতীয় সেনা আহত হয়েছেন এবং তাদের চিকিৎসার জন্য গুয়াহাটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের খবর সামনে আসার পরেই ময়দানে নেমেছে পড়েছে কংগ্রেস। সরকারের কাছে বেজিংকে 'কঠোর সুরে' 'ব্যাখ্যা করার' দাবি জানিয়েছে তারা। প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে কেন্দ্রের কাছে 'কঠোর সুরে' চিনের প্রতি অসহিষ্ণুতা প্রদর্শনের দাবি জানানো হয়েছে। এই ট্যুইটে কংগ্রেস লিখেছে, 'অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে ভারত ও চিনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সরকারের দোদুল্যমান মনোভাব ত্যাগ করে এবার সময় এসেছে চিনকে কড়া সুরে বোঝানোর যে এই কাজ বরদাস্ত করা হবে না।'
আর শুধু কংগ্রেসই না, সংসদে এই নিয়ে সরব আরজেডি, তৃণমূল কংগ্রেসের মতো দলগুলিও। রাজ্যসভা ও লোকসভায় এই বিষয়ে দ্রুর আলোচনার দাবি জানাচ্ছে বিরোধী দলগুলি। বিপক্ষের হট্টগোলের জেরে ১২টা পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে লোকসভা। এই বিষয়ে দুপুর ১২টায় লোকসভায় এবং দুপুর ২টোয় রাজ্যসভায় বিবৃতি দেবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। পাশাপাশি এই বিষয়ে ক্যাবিনেট বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রীও।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২০ সালের জুনে, ভারত ও চনা সেনা লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতীয় মালভূমিতে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সেই ঘটনার পর দুদেশের সম্পর্কে বেশ উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে অবশ্য কূটনৈতিক আলোচনার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে এবারের ঘটনা ফের একবার সেই উত্তেজনাকে উষ্কে দিল।
আরও পড়ুন - ২০২৩ সালে রাজ্য সরকারি কর্মীদের কোন মাসে কত ছুটি? ক্যালেন্ডার প্রকাশ নবান্নের