শত্রুদমনে আরও এক কদম এগিয়ে গেল ভারত। প্রতিবেশীর বেশে শত্রু হিসাবে লুকিয়ে থাকা দেশগুলির জন্য খারাপ খবর। কারণ, এ বার নিউ জেনারেশন পরমাণু অস্ত্র বহনের ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যালিস্টিক মিসাইল অগ্নি পি-এর সাফল্যের সঙ্গে পরীক্ষা করল আমাদের দেশ। দ্য ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের পক্ষ থেকে এই পরীক্ষাটি ওড়িশা উপকূলে করা হয়।
কেন সেরার সেরা এই মিসাইল?
অগ্নি-পি মিসাইল নিয়ে সমরাস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে তুঙ্গে। আর এমন উত্তেজনা এমনি এমনি নয়, বরং এর পিছনে নির্দিষ্ট কিছু কারণও রয়েছে। যেমন ধরুন-
১. এতে রয়েছে রিং লেজার জাইরো-বেসড ইন্টেরিয়াল নেভিগেশন সিস্টেম বা আইএনএস।
২. এই মিসাইলে মাইক্রো ইন্টেরিয়াল নেভিগেশন সিস্টেমও উপস্থিত।
৩. শুধু তাই নয়, এতে মাইক্রো ইনারশিয়াল নেভিগেশন সিস্টেমও রয়েছে।
৪. পাশাপাশি এটি অপশনাল জিপিএস এবং ন্যাভিক স্যাটেলাইট নেভিগেশন দ্বারা পরিচালিত।
এই সব বৈশিষ্ট্য থাকার ফলে এই মিসাইলকে খুব সহজেই একটি জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। শুধু তাই নয়, এতে মিসাইলকে লঞ্চের জন্য প্রস্তুত করার সময়ও অনেকটাই বেঁচে যায়। অল্প সময়ের মধ্যে রণক্ষেত্রে নিজের ছাপ ফেলতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র।
রয়েছে হাই অ্যাকিউরেসি
একটা মিসাইল কতটা উন্নত মানের, সেটার মূল বিবেচ্য তার অ্যাকিউরেসি। অর্থাৎ সহজ ভাষায়, ক্ষেপণাস্ত্রটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে কতটা সঠিক ভাবে আঘাত হানছে, সেটাই বিবেচনা করা হয়। আর সেই জায়গাতেই এগিয়ে রয়েছে অগ্নি-পি। এই মিসাইল অনায়াসে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে বলে টেস্টে সামনে এসেছে।
সাকসেসফুল টেস্ট হয়েছে
ডিআরডিও-এর পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই এই মিসাইলের পরীক্ষা সফল হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। যার ফলে সারা বিশ্বই ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। সকলেই ভারতের এই নতুন মিসালইকে সমীহ করছে বলে সমর বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
আরও টেস্ট হবে
এরপরও ডিআরডিও-এর পক্ষ থেকে অগ্নি-পি-এর নানা পরীক্ষা করা হবে বলে জানান হয়েছে। তার মাধ্যমে এর পারফরমেন্স যাচাই করা হবে।
যদিও এখনই সেনার হাতে আসছে না এই মিসালই। বরং প্রি-ইন্ডাকশন ট্রায়ালের পরই ভারতের অগ্নি-পি মিসালই ইন্ডিয়ান আর্মড ফোর্সেস হাতে আসবে বলে খবর। ততদিন অবশ্য একটু অপেক্ষা করতে হবে।
এগিয়ে যাচ্ছে ভারত
এই অতি আধুনিক নেক্টট জেন মিসালই হাতের আসার খবর পাওয়ার পরই অত্যন্ত উৎসাহিত হয়ে উঠেছেন ভারতীয় সমর বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এটা হতে চলেছে ভারতের ডিফেন্স রিসার্চের একটি তাৎপর্যপূর্ণ মাইলস্টোন। এই নতুন মিসালই সারা বিশ্বের কাছে ভারতের শ্রেষ্ঠত্বের কথা তুলে ধরবে। ভয় পাবে ভারতের শত্রুদেশ।