
কেরালার রাজনীতিতে ইতিহাস গড়লেন ২১ বছর বয়সি দিয়া বিনু পুলিক্কাকান্দম। কোট্টায়াম জেলার পালা পৌরসভার চেয়ারপারসন হিসেবে নির্বাচিত হয়ে তিনি শুধু কেরালার প্রথম ‘জেনারেশন জেড’ চেয়ারপারসনই নন, একই সঙ্গে ভারতের সর্বকনিষ্ঠ পৌরসভা প্রধানের স্বীকৃতিও পেলেন।
পৌর নির্বাচনে ভাঙা রায়ের পর কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চললেও শেষ পর্যন্ত চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পান দিয়া। পালা পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ে তিনি পেয়েছেন ১৩১টি ভোট। তাঁর বাবা বিনু পুলিক্কাকান্দম ও কাকা বিজু পুলিক্কাকান্দমও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন। ফলে পুলিক্কাকান্দম পরিবার পৌরসভার শাসক বোর্ড গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
সংবাদমাধ্যমকে দিয়া জানান, পৌরসভার মৌলিক পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাই তাঁর প্রধান অগ্রাধিকার। মাদ্রাজ ক্রিশ্চিয়ান কলেজ থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক দিয়া বলেন, “আমি এক বছর বয়সের সময় থেকেই বাবাকে কাউন্সিলর হিসেবে কাজ করতে দেখেছি। টানা পঞ্চমবার তিনি জিতেছেন। তাঁর কাজ দেখেই রাজনীতিতে আসার অনুপ্রেরণা পেয়েছি।” পাশাপাশি তিনি জানান, দায়িত্ব সামলানোর সঙ্গে সঙ্গে উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁর।
কীভাবে ইতিহাস গড়লেন দিয়া বিনু
২৬ সদস্যের পালা পৌর কাউন্সিলে কোনও দলই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এলডিএফ) জেতে ১২টি আসন, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউডিএফ) পায় ১০টি আসন। বাকি চারটি আসন যায় নির্দল প্রার্থীদের ঝুলিতে, এর মধ্যে পুলিক্কাকান্দম পরিবারের তিনটি এবং কংগ্রেসের বিদ্রোহী প্রার্থী মায়া রাহুলের একটি।
শেষ পর্যন্ত পুলিক্কাকান্দম পরিবার ইউডিএফকে সমর্থন করায় তারা পৌরসভা গঠন করে। মায়া রাহুলও ইউডিএফকে সমর্থন করেন এবং তাঁকে ভাইস চেয়ারপারসন করা হয়। এলডিএফ দিয়া বিনুদের সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করলেও চেয়ারপারসন পদ নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় তা ব্যর্থ হয়। এর ফলে ১৯৮৫ সালে পালা পৌরসভা গঠনের পর এই প্রথম এলডিএফের মিত্র কেরালা কংগ্রেস (এম) বিরোধী বেঞ্চে বসতে বাধ্য হল।