Advertisement

India vs Pakistan Missile Power: ভারতের হাতে পৃথ্বী-অগ্নি-ব্রহ্মস, পাকিস্তানের হাতে শাহিন-বাবর-ঘৌরি, শক্তিতে কে এগিয়ে?

ভারতের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং বিপজ্জনক মিসাইল রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ পাল্লার মিসাইলগুলির গতি এবং প্রাণঘাতী ক্ষমতার সামনে সবাই মাথা নত করে। পাকিস্তানের কাছেও এমন মিসাইল রয়েছে, যা ভারতের পুরো সীমান্ত জুড়ে রয়েছে।

ভারতের হাতে পৃথ্বী-অগ্নি-ব্রহ্মস, পাকিস্তানের হাতে শাহিন-বাবর-ঘৌরি, শক্তিতে কে এগিয়ে?ভারতের হাতে পৃথ্বী-অগ্নি-ব্রহ্মস, পাকিস্তানের হাতে শাহিন-বাবর-ঘৌরি, শক্তিতে কে এগিয়ে?
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 25 Apr 2025,
  • अपडेटेड 12:50 PM IST
  • ভারতের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং বিপজ্জনক মিসাইল রয়েছে
  • বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ পাল্লার মিসাইলগুলির গতি এবং প্রাণঘাতী ক্ষমতার সামনে সবাই মাথা নত করে

ভারতের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং বিপজ্জনক মিসাইল রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ পাল্লার মিসাইলগুলির গতি এবং প্রাণঘাতী ক্ষমতার সামনে সবাই মাথা নত করে। পাকিস্তানের কাছেও এমন মিসাইল রয়েছে, যা ভারতের পুরো সীমান্ত জুড়ে রয়েছে। তাদের আঘাত করার ক্ষমতা অনুমান করা যায় না, তবে পাল্লার দিক থেকে এদের ভারতীয় মিসাইলের সঙ্গে তুলনা করা যায় না।

ভারতের মিসাইলের বহর

পৃথ্বী ৩

আরও পড়ুন

এটি একটি স্বল্প-পাল্লার ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক মিসাইল। এর পাল্লা ৭৫০ কিলোমিটার। এর ওজন ৫৬০০ কেজি। দৈর্ঘ্য ৯ মিটার এবং ব্যাস ১০০ সেন্টিমিটার। এতে সাত ধরনের অস্ত্র স্থাপন করা যেতে পারে। যার মধ্য়ে রয়েছে পরমাণু অস্ত্রও। অস্ত্রের ওজন ৫০০ থেকে ১০০০ কিলোগ্রাম হতে পারে। এটি দুই-পর্যায়ের কঠিন জ্বালানি রকেটে চলে। এর পাল্লা ৩৫০ থেকে ৭৫০ কিলোমিটার। যেখানে এটি পড়ে, ২৫ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে কিছুই অক্ষত থাকে না।

বারাক ৮

দূরপাল্লার ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য মিসাইল। এটি ভারতের সমস্ত সেনাবাহিনী ব্যবহার করে। এর ওজন ২৭৫ কেজি এবং দৈর্ঘ্য ৪.৫ মিটার। এতে ৬০ কেজি ওজনের ওয়ারহেড স্থাপন করা যেতে পারে। এর বিস্ফোরণ ব্যবস্থা ধ্বংস করা কঠিন। এর মানে হল যদি এটি পড়ে যায়, তাহলে শত্রু সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে। এর রকেট কোনও ধোঁয়া ছাড়াই উড়ে যায়, তাই এটি আকাশে দেখা যায় না। এর পরিসীমা ১৬ থেকে ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত। যা ঘণ্টায় ২৪৬৯ কিলোমিটার বেগে শত্রুর দিকে এগিয়ে চলে।

কে-৪ মিসাইল

এটি একটি মাঝারি পাল্লার সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করার ব্যালিস্টিক মিসাইল। মাত্র ৪ বছর আগে এটি ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবমেরিনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এর ওজন ১৭ টন। ১২ মিটার লম্বা এই মিসাইল পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে শত্রুর উপর আক্রমণ করতে সক্ষম। এর অপারেশনাল রেঞ্জ ৩৫০০ কিমি। এটি মাঝপথে দিক পরিবর্তন করে শত্রুকে ধ্বংস করতে পারে। এর গতি জানা যায়নি। পাকিস্তানের কাছে এই ক্যালিবারের কোনও মিসাইল নেই।

Advertisement

অগ্নি ৫

ভারতের সবচেয়ে শক্তিশালী মিসাইলগুলির মধ্যে একটি হল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল (ICBM)। এর ওজন ৫০ থেকে ৫৬ হাজার কিলোগ্রাম। ১৭.৫ মিটার লম্বা এই মিসাইল ১৫০০ কেজি ওজনের অস্ত্র বহন করতে পারে। এতে একটি তিন-পর্যায়ের কঠিন জ্বালানি রকেট রয়েছে। যা পারমাণবিক অস্ত্র বহনের জন্য আশ্চর্যজনক শক্তি দেয়। এর পাল্লা ৫৫০০ কিলোমিটার। এর অর্থ হলো চিন ও পাকিস্তান-সহ অর্ধেক বিশ্ব এর আওতায় আসে। পাকিস্তান এমন মিসাইলের কথা ভাবতেও পারে না।

ব্রহ্মস

এই মিসাইলটিকে কেবল ভারতেই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক এবং প্রাণঘাতী বলে মনে করা হয়। এটি একটি সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। এর অনেক রূপ ভারতের তিনটি সেনাবাহিনীতেই মোতায়েন করা হয়েছে। ৩০০০ কেজি ওজনের এই মিসাইল ৮.৪ মিটার লম্বা। এটি ২০০ থেকে ৩০০ কেজি ওজনের পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারে। বিভিন্ন ধরনের রেঞ্জ ৪০০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার। এর সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হল এটি স্থল বা সমুদ্র থেকে মাত্র ৩ থেকে ৪ মিটার উপরে উড়তে পারে। এই মিসাইল শত্রুর রাডারকে ফাঁকি দিতে পারে। দ্বিতীয়ত, এর গতি প্রতি ঘণ্টায় ৪৯৩৯ কিলোমিটার। এই মিসাইল মাঝপথে দিক পরিবর্তন করতে পারে।

পাকিস্তানের হাতে থাকা মিসাইল

হাতফ-৭/বাবুর

এটি পাকিস্তানের পঞ্চম সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র। এটি একটি মাঝারি পাল্লার সাবসনিক ক্রুজ মিসাইল। এর ওজন ১৫০০ কেজি। এর দৈর্ঘ্য ৬.২ মিটার। এটি ৪৫০ থেকে ৫০০ কেজি পর্যন্ত প্রচলিত বা পারমাণবিক ওয়ারহেড দিয়ে সজ্জিত করা যেতে পারে। বাবর মিসাইলের সাতটি ভার্সন রয়েছে। সর্বোচ্চ পাল্লা ৯০০ কিলোমিটার। এর গতিবেগ ঘণ্টায় ৯৯০ কিলোমিটার। এর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার জন্য ভারতের নির্ভয় মিসাইলই যথেষ্ট। নির্ভয়ের পাল্লা ১৫০০ কিলোমিটার এবং গতিবেগ ঘণ্টায় ১১১০ কিলোমিটার।

হাতফ-৪/শাহিন-১

চতুর্থ স্থানে থাকা পাকিস্তানের এই মিসাইলের পাল্লা ৭৫০ থেকে ১০০০ কিলোমিটার। এর ওজন ১০ হাজার কিলোগ্রাম। এটি ১২ মিটার লম্বা। এতে ১০০০ কিলোগ্রামের সিঙ্গল ওয়ারহেড থাকতে পারে। এটিকে স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল ক্লাসে রাখা হয়েছে। এটি সর্বশেষ সফলভাবে ২০১৩ সালের ১০ এপ্রিল পরীক্ষা করা হয়েছিল। তারপর থেকে এর কোনও পরীক্ষা হয়নি।

হাতফ-৫/ঘৌরি

পাকিস্তানের তৃতীয় সবচেয়ে বিপজ্জনক মিসাইল হিসেবে বিবেচিত এই মিসাইল একটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল। এর ওজন ১৫,৮৫০ কেজি। এটি ১৫.৯০ মিটার লম্বা। এর অপারেশনাল রেঞ্জ ১৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত। এটি শেষবার পরীক্ষা করা হয়েছিল ২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল।

হাতফ-৬/শাহিন-২

পাকিস্তানের আরেকটি হেভি মিসাইল। ২৫ হাজার কিলোগ্রাম ওজনের এই মিসাইলটির পাল্লা ২৫০০ কিলোমিটার। এটি আকাশে ৩০০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছতে পারে। ১৭.৫ মিটার লম্বা এই মিসাইলটির ব্যাস ১.৪ মিটার। এটি পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করা যেতে পারে। এর গতি সম্পর্কে কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

শাহিন ৩

বলা হচ্ছে যে এটি পাকিস্তানের সবচেয়ে বিপজ্জনক মিসাইল। ১৯.৩ মিটার লম্বা এই মিসাইলের পাল্লা ২৭৫০ কিলোমিটার বলে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ, পুরো ভারত এর পাল্লার আওতায় আসতে পারে। তবে, সেটা নির্ভর করবে এটি পাকিস্তানের কোনও এলাকা থেকে ছোড়া হচ্ছে তার উপরে। এই মিসাইলের রেঞ্জে চিনও রয়েছে। এর গতি বা আঘাত করার ক্ষমতা সম্পর্কে কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এর শেষ পরীক্ষাটি করা হয়েছিল ২০২২ সালের ৯ এপ্রিল।

Read more!
Advertisement
Advertisement