
শত্রুপক্ষকে যুদ্ধক্ষেত্রে আর এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ ভারত। তাই দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই অনুযায়ী S-400 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের জন্য রাশিয়ার কাছ থেকে প্রায় ১০০০০ কোটি টাকার মূল্যের বিপুল সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চাইছে ভারত। এই বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে কথাও চলছে। যার ফলে আদতে পাকিস্তানের রক্তচাপ আরও বাড়বে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় বায়ুসেনার S-400 সিস্টেম একটি দারুণ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এই ডিফেন্স সিস্টেম শত্রুপক্ষের ছোড়া মিসাইল এবং ড্রোনকে আটকে দিতে পারে। ধ্বংস করতে পারে যুদ্ধবিমান। আর সেটার প্রমাণ মিলেছে ভারত-পাক সাম্প্রতিক যুদ্ধে। এই চার দিনের সংঘর্ষে পাকিস্তানের ৩০০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে ৫ থেকে ৬টি পাক যুদ্ধবিমান এবং একটি গুপ্তচর বিমানকে নামিয়েছে এই ডিফেন্স সিস্টেম। আর সেই কারণেই S-400 কে ভারতের বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে 'গেম চেঞ্জার' হিসাবে বর্ণনা করেছে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স।
'ভারতীয় এয়ার ফোর্স তার বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চাইছে। রাশিয়ান সঙ্গে ইতিমধ্যেই আলোচনা চলছে', এমনটাই জানা গিয়েছে সূত্র মারতফ।
এক্ষেত্রে ২৩ অক্টোবর প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ কাউন্সিলের একটা সভা হওয়ার কথা। সেখানেই এই মিসাইল কেনার বিষয়ে IAF এর প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইনভেন্টরি বাড়াতে চাইছে ভারত
S-400-এর সংখ্যা আরও বাড়াতে চাইছে ভারতীয় এয়ারোফোর্স। সেই মতো আরও আরও স্কোয়াড্রন যুক্ত করা হবে বলেই খবর। প্রসঙ্গত, রাশিয়ার সঙ্গে ২০১৮ সালে এই বিষয়ে চুক্তি হয়। আর সেই চুক্তির ফলস্বরূপ ৫টি স্কোয়াড্রন পাওয়ার কথা ভারতের। ইতিমধ্যেই তিনটি পেয়েছে এয়ার ফোর্স। আর সেগুলির ব্যবহার চলছে। যদিও এরই মাঝে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। যেই কারণে চতুর্থ স্কোয়াড্রনের ভারত পায়নি। তবে ভারত আরও S-400 এবং S-500 সিস্টেমকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। সেই মতো কথাও চলছে দুই দেশের মধ্যে।
অন্য ভাবেও বাড়ছে শক্তি
ও দিকে ভিজ্যুয়াল রেঞ্জ কমব্যাটের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভারত রাশিয়া থেকে নতুন এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল কেনার চেষ্টাও করছে। এছাড়া ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলকে আরও আধুনিক করার বিষয়েও কথা হচ্ছে বলেই খবর। তাই সামনা সামনি যুদ্ধ হলে যে আগামিদিনে পাকিস্তানের আরও বেশি চাপে পড়বে, এই কথা তো বলাই বাহুল্য।