Advertisement

Kashmir Hydro Projects: সিন্ধুর পর চেনাব, পাকিস্তানকে ফের ঝটকা; কাশ্মীরে ২টি জলবিদ্যুতের কাজ শুরু করল ভারত

Kashmir Hydro Projects: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানায় শহিদ ২৬ জওয়ান। ভারত স্থগিত করল সিন্ধু জল চুক্তি। কাশ্মীরে জল নিয়ন্ত্রণে বড় পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। নতুন দুটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শুরু।

সিন্ধুর পর চেনাব, পাকিস্তানকে ফের ঝটকা; কাশ্মীরে ২টি জলবিদ্যুতের কাজ শুরু করল ভারতসিন্ধুর পর চেনাব, পাকিস্তানকে ফের ঝটকা; কাশ্মীরে ২টি জলবিদ্যুতের কাজ শুরু করল ভারত
Aajtak Bangla
  • শ্রীনগর,
  • 05 May 2025,
  • अपडेटेड 3:53 PM IST

Kashmir Hydro Projects: কাশ্মীরের পাহালগামে CRPF জওয়ানদের উপরে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৬ জন জওয়ান। জখম বহু। এই ঘটনার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করেছে ভারত সরকার। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে স্থগিত করা হয়েছে ১৯৬০ সালের ঐতিহাসিক 'সিন্ধু জলচুক্তি'।

এই ঘটনার মধ্যেই কাশ্মীরের চেনাব নদীর উপর দু’টি বড় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে ভারত। সালাল ও বাগলিহার জলবিদ্যুৎ প্রকল্পে আবারও কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যা আগে পাকিস্তানের আপত্তিতে থমকে ছিল। কেন্দ্রের মতে, দেশের স্বার্থে এবং কাশ্মীরের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি।

সূত্র মতে, জম্মু ও কাশ্মীরের চেনাব নদীর উপর অবস্থিত দুটি বিদ্যমান জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, সালাল এবং বাগলিহারের জলাধারের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ শুরু হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বর্তমান উত্তেজনার মধ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে,যার লক্ষ্য হল চেনাব নদীর জল আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করা।

আরও পড়ুন

ভারতের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ কোম্পানি এনএইচপিসি এবং জম্মু ও কাশ্মীর সরকার জলাধারগুলিতে জমা পলি অপসারণের জন্য ফ্লাশিং প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। এই ফ্লাশিং প্রক্রিয়াটি ১ মে শুরু হয়েছিল এবং তিন দিন ধরে চলেছিল। যদিও এটি পাকিস্তানে সরবরাহ করা পানিতে তাৎক্ষণিকভাবে প্রভাব ফেলবে না, তবে এটি অন্যান্য প্রকল্পগুলিতে প্রভাব ফেলবে। হিমালয় অঞ্চলে এরকম অর্ধ ডজন প্রকল্প রয়েছে।

এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন বলেই দেখছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তান সরকার জাতিসংঘে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছে এবং বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালতে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। অন্যদিকে, ভারত জানিয়েছে— এই জলচুক্তি তারা বহু বছর ধরে মেনে চলেছে, কিন্তু বারবার সীমান্তে রক্ত ঝরানোর পর আর সহ্য করা হবে না।

পরিস্থিতি যাতে আরও না তেতে ওঠে, তার জন্য কূটনৈতিক মহল চেষ্টা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাশিয়া ও ইরান এই দুই দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ আলোচনার জন্য মধ্যস্থতা করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। কাশ্মীর ও সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা চূড়ান্তভাবে জোরদার করা হয়েছে।

Advertisement

বিশেষজ্ঞদের মতে, সিন্ধু জলচুক্তি ভারতের অন্যতম শক্তি হলেও একে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করলে গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় জলের যুদ্ধ শুরু হতে পারে। ফলে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক চাপ ও ভবিষ্যতের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উপরে।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement