ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা ক্রমেই যুদ্ধের আকার নিতে চলেছে মনে হচ্ছে। কারণ, ভিখারি পাকিস্তানের তরফ থেকে বারেবারে ভারতের সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে। যদিও তারা তাতে সফল হচ্ছে না খুব একটা। শুক্রবার রাতে পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক শহর ও সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায়। এছাড়াও ফতেহ-২ মিসাইল ছোড়ে। যদিও সেই মিসাইল আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।
এদিকে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে ভারত ৬টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে। খবর আসছে যে পাকিস্তানের ৪টি বিমানঘাঁটিতে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ভারত। এরপর পাকিস্তান তাদের বিমানঘাঁটি বন্ধ করে দেয় এবং NOTAM জারি করে। তবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এই হামলার বিষয়ে কোনও কিছু জানানো হয়নি।
এক নজরে রাতভর কী কী হল
পাকিস্তানের মোট ৪০টি বিমানঘাঁটি রয়েছে। ফেডারেশন অফ আমেরিকান সায়েন্টিস্টসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বিমান ঘাঁটির মধ্যে ৩০টি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে পরমাণু হামলার জন্য প্রস্তুত থাকতে পারে। পাকিস্তানের প্রধান বিমানঘাঁটি হল শোরকোট, মাসরুর করাচি, কোয়েটার সামুংলি, কামরা এবং পেশোয়ারের মিনহাস। প্রতিটি দেশের মতো, পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিগুলিও তিনটি বিভাগে বিভক্ত। প্রথমে রয়েছে প্রধান অপারেশনাল বেস, এই বিমানঘাঁটিগুলি সম্পূর্ণরূপে কার্যকর বিমানবন্দর। দ্বিতীয়ত, ফরোয়ার্ড অপারেশনাল ঘাঁটিগুলি সর্বদা সক্রিয় থাকে। তবে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির ক্ষেত্রে সেগুলিকে তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হয়। এরপর শান্তি এবং যুদ্ধকালীন উভয় সময়েই জরুরি অবতরণ এবং বিমান ওঠানামার জন্য স্যাটেলাইট ঘাঁটি ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও, পাকিস্তানে প্রায় ২ ডজন অসামরিক বিমানবন্দর রয়েছে, যেগুলো প্রয়োজনে সামরিক বিমান অবতরণ এবং পরিচালনার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এর মধ্যে কিছু সম্পূর্ণরূপে অসামরিক ব্যবহারের জন্য, অন্যগুলোর কেবল একটি রানওয়ে এবং সীমিত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ আইএসপিআর-র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেছেন যে ভারত থেকে ৬টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে। জলন্ধরের আদমপুর বিমানঘাঁটি থেকে ভারত এই মিসাইলগুলি ছোড়ে। জেনারেল আহমেদ ভারতের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন এবং এটিকে দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেছেন। ভারতের এই আক্রমণাত্মক অবস্থান অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠবে।