Advertisement

India Pakistan Tesion Updates: পাকিস্তানের ড্রোন হামলার জবাবে বিমানঘাঁটি ধ্বংস ভারতের, রাতভর যা হল, জানুন ১০ পয়েন্টে

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা ক্রমেই যুদ্ধের আকার নিতে চলেছে মনে হচ্ছে। কারণ, ভিখারি পাকিস্তানের তরফ থেকে বারেবারে ভারতের সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে। যদিও তারা তাতে সফল হচ্ছে না খুব একটা। শুক্রবার রাতে পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক শহর ও সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায়। এছাড়াও ফতেহ-২ মিসাইল ছোড়ে।

পাকিস্তানের ড্রোন হামলার জবাবে বিমানঘাঁটি ধ্বংস ভারতের, রাতভর যা হল, জানুন ১০ পয়েন্টেপাকিস্তানের ড্রোন হামলার জবাবে বিমানঘাঁটি ধ্বংস ভারতের, রাতভর যা হল, জানুন ১০ পয়েন্টে
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 10 May 2025,
  • अपडेटेड 10:12 AM IST
  • ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা ক্রমেই যুদ্ধের আকার নিতে চলেছে মনে হচ্ছে
  • ভিখারি পাকিস্তানের তরফ থেকে বারেবারে ভারতের সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা ক্রমেই যুদ্ধের আকার নিতে চলেছে মনে হচ্ছে। কারণ, ভিখারি পাকিস্তানের তরফ থেকে বারেবারে ভারতের সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে। যদিও তারা তাতে সফল হচ্ছে না খুব একটা। শুক্রবার রাতে পাকিস্তান জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক শহর ও সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালায়। এছাড়াও ফতেহ-২ মিসাইল ছোড়ে। যদিও সেই মিসাইল আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছে ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।

এদিকে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী দাবি করেছে যে ভারত ৬টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে। খবর আসছে যে পাকিস্তানের ৪টি বিমানঘাঁটিতে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ভারত। এরপর পাকিস্তান তাদের বিমানঘাঁটি বন্ধ করে দেয় এবং NOTAM জারি করে। তবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত এই হামলার বিষয়ে কোনও কিছু জানানো হয়নি।

এক নজরে রাতভর কী কী হল

আরও পড়ুন

  • পাকিস্তান পাঞ্জাবের অমৃতসরে ড্রোন হামা চালানোর চেষ্টা করছে। আজ ভোর ৫টায় সেনাবাহিনীর বিমান প্রতিরক্ষা গান দ্বারা এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ করা হয়েছে, আকাশেই এটি ধ্বংস করা হয়েছে। ড্রোনটির লক্ষ্য ছিল অসামরিক এলাকা এবং নিরীহ অসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো। 
  • S-400 সিস্টেম ধ্বংস বা ক্ষতির খবর ভিত্তিহীন, ভুয়ো খবর। জানানো হল সরকারি তরফে। 
  • জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা জম্মুর সেই এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছেন যেগুলি পাকিস্তানি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
  • তিন বাহিনীর প্রধানই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে পৌঁছেছেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক হবে। পাকিস্তান রাতভর অসামরিক এলাকা লক্ষ্য করে বিনা উস্কানিতে হামলা চালিয়ে যাওয়ার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
  • মার্কিন বিদেশ দফতরের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, শুক্রবার মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে কথা বলেছেন। পাকিস্তান ও ভারত উভয়কেই উত্তেজনা কমানোর উপায় খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন। মুখপাত্র জানিয়েছেন, রুবিও ভবিষ্যতে সংঘাত এড়াতে গঠনমূলক আলোচনা শুরু করতে মার্কিন সাহায্যেরও প্রস্তাব দিয়েছেন।
  • এদিকে, ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস অব্যাহত থাকায় প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির (এনসিএ) একটি জরুরি সভা ডেকেছেন।
  • প্রতিরক্ষা সূত্রের খবর, জম্মুর কাছে পাকিস্তানি পোস্ট, জঙ্গি লঞ্চ প্যাড, যেগুলি টিউব-লঞ্চড ড্রোন উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল, ভারতীয় সেনাবাহিনী ধ্বংস করেছে। রাজস্থানের বারমেরে একটি পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে। ফিরোজপুরের একটি আবাসিক এলাকায় একটি ড্রোন হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন।
  • উত্তরে বারামুল্লা থেকে দক্ষিণে ভুজ পর্যন্ত, আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ২৬টি স্থানে ড্রোন হামলা চালানোর চেষ্টা পাকিস্তানের। এর মধ্যে রয়েছে সশস্ত্র ড্রোন হামলা।
  • অবস্থানগুলির মধ্যে রয়েছে বারামুল্লা, শ্রীনগর, অবন্তীপোরা, নাগরোটা, জম্মু, ফিরোজপুর, পাঠানকোট, ফাজিলকা, লালগড় জট্টা, জয়সালমের, বারমের, ভুজ, কুয়ারবেট এবং লক্ষী নালা।
  • বারমের জেলা কালেক্টর নিশ্চিত করেছেন যে, রাজস্থানে এখন পর্যন্ত মোট দশটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে, যার মধ্যে নয়টি জয়সলমীর জেলায় এবং একটি বারমেরে রয়েছে।

পাকিস্তানের মোট ৪০টি বিমানঘাঁটি রয়েছে। ফেডারেশন অফ আমেরিকান সায়েন্টিস্টসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বিমান ঘাঁটির মধ্যে ৩০টি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে পরমাণু হামলার জন্য প্রস্তুত থাকতে পারে। পাকিস্তানের প্রধান বিমানঘাঁটি হল শোরকোট, মাসরুর করাচি, কোয়েটার সামুংলি, কামরা এবং পেশোয়ারের মিনহাস। প্রতিটি দেশের মতো, পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিগুলিও তিনটি বিভাগে বিভক্ত। প্রথমে রয়েছে প্রধান অপারেশনাল বেস, এই বিমানঘাঁটিগুলি সম্পূর্ণরূপে কার্যকর বিমানবন্দর। দ্বিতীয়ত, ফরোয়ার্ড অপারেশনাল ঘাঁটিগুলি সর্বদা সক্রিয় থাকে। তবে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির ক্ষেত্রে সেগুলিকে তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হয়। এরপর শান্তি এবং যুদ্ধকালীন উভয় সময়েই জরুরি অবতরণ এবং বিমান ওঠানামার জন্য স্যাটেলাইট ঘাঁটি ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও, পাকিস্তানে প্রায় ২ ডজন অসামরিক বিমানবন্দর রয়েছে, যেগুলো প্রয়োজনে সামরিক বিমান অবতরণ এবং পরিচালনার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এর মধ্যে কিছু সম্পূর্ণরূপে অসামরিক ব্যবহারের জন্য, অন্যগুলোর কেবল একটি রানওয়ে এবং সীমিত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ আইএসপিআর-র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেছেন যে ভারত থেকে ৬টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে। জলন্ধরের আদমপুর বিমানঘাঁটি থেকে ভারত এই মিসাইলগুলি ছোড়ে। জেনারেল আহমেদ ভারতের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন এবং এটিকে দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেছেন। ভারতের এই আক্রমণাত্মক অবস্থান অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠবে।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement