ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে অশান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। ভারতে হামলা চালানোর একের পর এক চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে তাদের। পাল্টা প্রত্যাঘাতে থরহরিকম্প পাকিস্তান। ভারতের বায়ু এবং নৌসেনার অ্যাকশনে দিশেহারা পাকিস্তান। রাতভর দাপট দেখাল ভারতের কোন কোন
ভারতের আকাশে JF-17 এবং F-16 যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে হামলা চালাতে চেয়েছিল পাকিস্তান। হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে ভারতের সেনাবাহিনীর ক্ষমতা। বায়ুসেনার একটা চালেই কুপোকাত দুই শক্তিশালী যুদ্ধবিমান। একইসঙ্গে পাকিস্তানের AWAKS বিমানকে সে দেশের পাঞ্জাব প্রদেশের মাটি থেকে উড়তেই দেয়নি ভারতের অত্যাধুনিক এবং শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।
পাক ড্রোনগুলিকেও মুড়ি-মুড়কির মতো গুলি করে নামিয়ে দিচ্ছে ভারত। জম্মুর এয়ারস্ট্রিপে রকেট হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান। তবে ভারতীয় বায়ুসেনার ঝটিতি অ্যাকশনে ফ্লপ করে গিয়েছে পাকিস্তানের সমস্ত প্ল্যান।
কোন কোন হাতিয়ারে পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করছে ভারত?
L-70: বৃহস্পতিবার রাতে যখন নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং সীমান্ত এলাকাগুলিতে ড্রোন হামলার চেষ্টা হয় তখন উধমপুর, সাম্বা, জম্মু, আখনুর, নগরকোটা এবং পাঠানকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার ডিফেন্স ইউনিট কাউন্টার ড্রোন অপারেশন শুরু করে। ৫০টিরও বেশি ড্রোন নামিয়ে দেওয়া হয়। ভারত S-400, L-70 অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্ট বন্দুক এবং সোভিয়েত রাশিয়া থেকে প্রাপ্ত ZSU-23-4 শিল্কা ইউনিট সহ ড্রোন মোকাবিলাকারী কম উচ্চতার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের পুরো সিরিজ নামিয়ে দেয়। আকাশপথে শত্রুকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা প্রদর্শন করে ভারত।
S-400: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে S-400 খেল দেখিয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনার অত্যাধুনিক S-400 মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম চটজলদি অ্যাকশন নিয়েছে। পাকিস্তানের তরফে ছোড়া ৮টি মিসাইল আকাশেই ধ্বংস হয়ে যায়। সেনা মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই মিসাইলগুলির নিশানা ছিল জম্মু এয়ারস্ট্রিপ। আগাম অ্যাকশন নিয়ে ভারত কামাল করে দেখিয়েছে। এই পরাক্রমশালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে ভারতের নিজস্ব ‘আয়রন ডোম’ বলেও ডাকা হয়। S-400 কেনার জন্য প্রথম চুক্তি হয় ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর। ৫ অক্টোবর ২০১৬ সালে ব্রিকস সামিট চলাকালীন, ভারত এবং রাশিয়ার মধ্যে চূড়ান্ত কথাবার্তা হয়। ঠিক হয় প্রাথমিকভাবে ৫টি S-400 সরবরাহ করবে রাশিয়া। ৫ অক্টোবর ২০১৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫.৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সেই চুক্তি সাক্ষরিত হয়। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে S-400 আনার কাজ শেষ হয়।
৬০০ কিলোমিটার দূর থেকেও শত্রুর মিসাইল ধেয়ে এলেও তাকে আগাম চিহ্নিত করতে পারে এই অস্ত্র। এর মধ্যে রয়েছে চার ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র। শত্রু শিবিরের মিসাইল ৪০০ কিলিমিটারের মধ্যে এলেই তাকে নিখুঁত নিশানায় ধ্বংস করে দেয় ভারতের এই 'সুদর্শন চক্র'। ফাইটার জেট, ব্যালিস্টিক মিসাইল বা ড্রোন- শত্রু শিবিরের কোনও সমরাস্ত্রই এর ধারেকাছে ঘেঁষতে পারে না। এলেই ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়।
INS বিক্রান্ত: সমুদ্রপথে ক্ষমতা প্রদর্শন করল INS বিক্রান্ত। পরিস্থিতি আঁচ কর আরব সাগরে আগে থেকেই এই যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েন করে রেখেছিল ভারত।
ZSU-23-4 শিল্কা: রাশিয়ার দেওয়া নাম 'শিল্কা' একটি জনপ্রিয় স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম। এটি প্রতি মিনিটে চার হাজার রাউন্ড গুলি ছুড়তে পারে। সম্প্রতি এটিকে ছোট ড্রোনের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য প্রক্সিমিটি-ফিউজ গোলাবারুদ এবং উন্নত ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেমে আপগ্রেড করা হয়েছে।
আকাশ মিসাইল: ৭-৮ মে রাতে পাকিস্তানের শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, চণ্ডীগড় এবং অন্য ১৫ শহরে ভারতীয় সেনার ঘাঁটিতে ড্রোন এবং মিসাইল হামলা করার চেষ্টা হয়। আকাশ মিসাইল সিস্টেম শ্রীনগরের দিকে এগোতে থাকা পাকিস্তানি JF-17 জেটকে ধ্বংস করে দেয়। এটি ভারতের স্বদেশি পদ্ধতিতে তৈরি সিস্টেম। ডিজাইন তৈরি করে DRDO।