পহেলগাঁও হামলার পর কেটে গিয়েছে দু'সপ্তাহ। নৃশংস জঙ্গি হামলার বদলা চাইছে গোটা দেশ। একজনও জঙ্গিকে রেয়াত করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে জঙ্গিদের মদতদাতাদেরও ছেড়ে কথা বলবে না ভারত। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও জানিয়েছেন, দেশবাসী যা চাইছেন তাই হবে। অনুমান করা হচ্ছে বড়সড় প্রত্যাঘাত করবে ভারত। বুধবার দেশজুড়ে চলবে মক ড্রিল। হামলা হলে কী করতে হবে, কীভাবে প্রাণরক্ষা করতে হবে এবং যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে তার জন্য দেশবাসীকে প্রস্তুত করা হবে। চলবে বিশেষ প্রশিক্ষণও।
এদিকে, ভারতের ভয়ে থরহরিকম্প পাকিস্তান। যে কোনও মুহূর্তে ভারত হামলা চালাতে পারে বলেই মনে করছে পাক সরকার। যদিও তারাও সর্বশক্তি দিয়ে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত বলে দাবি করেছে। ইতিমধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষারও দাবি করেছে পাকিস্তান। ভারত-পাকিস্তান অশান্তির আবহে প্রতি মুহূর্তের খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন bangla.aajtak.in-এ
মক ড্রিলের আগে লখনউতে চলছে এয়ার রেইড সাইরেন। লখনউ পুলিশ লাইনে এই মহড়া চলছে।
পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা বেড়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে বুধবার অনুষ্ঠিত হতে চলা মক ড্রিলের আগে দিল্লিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পর্যটন ও বাজারের স্থানগুলিতে বিশেষ মনোযোগ দিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় দিনরাত টহল বৃদ্ধি করেছে পুলিশ। কনট প্লেস, ইন্ডিয়া গেট, জনপথ, যশবন্ত প্যালেস, গোল মার্কেট এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলি কভার করার জন্য বিশেষ টহল ইউনিটগুলিকে মোতায়েন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে, একটি পুলিশ দল কনট প্লেসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছে।
পহেলগাঁও হামলার তিন দিন আগে গোয়েন্দাদের তরফে আগাম খবর পেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।
গত তিন দিনে তিনবার, ফের ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় আটক পাকিস্তানি নাগরিক। LoC-র কাছে পুঞ্চে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের হাতে আটক ওই ব্যক্তি।
ভারতের বিরুদ্ধে প্যাঁচ কষতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল পাকিস্তান। ভারতের সঙ্গে উদ্ভূত উদ্বেগজনক পরিস্থিতি নিয়ে ‘রুদ্ধদ্বার আলোচনা’র জন্য নিরাপত্তা পরিষদে অনুরোধ করেছিল পাকিস্তান। সিন্ধু জল চুক্তি রদ-সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে অভিযোগ জানায় পাকিস্তান। কিন্তু পরিবর্তে রুদ্ধদ্বার মিটিংয়ে কাউন্সিল সদস্যদের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ে জেরবার ইসলামাবাদ। পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতারেস। সরাসরি ইসলামাবাদকেই লস্কর-ই-তৈবার জড়িত থাকা নিয়ে প্রশ্ন করেন নিরাপত্তা পরিষদ কাউন্সিলের সদস্যরা।
আজ বিকেল সাড়ে চারটের সময় মকড্রিল নিয়ে বৈঠক করবেন স্বরাষ্ট্রসচিব। রাজ্যগুলোর প্রস্তুতি কেমন তা খতিয়ে দেখতে পারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় নিহত ভারতীয় নৌবাহিনীর নেফট্যানেন্ট বিনয় নারওয়ালের বাড়িতে গেলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
নতুন করে পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ার প্রেক্ষাপটে পশ্চিম ফ্রন্টে মোতায়েন ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলি কড়া নজর রাখছে সে দেশের জ্বালানি সরবরাহের ওপর। পহেলগাঁওয়ে হামলার সময়েই জানা গিয়েছিল, নানা কারণে পাকিস্তানে তেলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে এবং মজুতও সীমিত। এই পরিস্থিতিতে ইসলামাবাদ তার মিত্র দেশগুলির কাছে অতিরিক্ত তেলের জন্য সাহায্য চেয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আরব সাগরে মোতায়েন ভারতীয় নৌবাহিনী পাকিস্তানের বন্দরগুলিতে আসা তেলবাহী জাহাজ ও অন্যান্য জিনিসপত্র সরবরাহকারী ভেসেলগুলির গতিবিধি কড়া নজরে রাখছে। এই নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে P-8I ও MQ-9B ড্রোন। পাশাপাশি ভারতীয় স্যাটেলাইটও নজর রাখছে পাকিস্তানের মিত্র দেশগুলির নৌবাহিনীর গতিবিধির ওপর। সাম্প্রতিক হামলার পর সীমান্তে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে, আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই গোটা নজরদারি পরিকাঠামো সক্রিয় করেছে ভারত।
'পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের অপেক্ষায় দেশ, সরকারের উচিত সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা', মন্তব্য কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ জয়রাম রমেশের।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। মঙ্গলবার সকালে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ৭ নম্বর লোককল্যাণ মার্গে পৌঁছন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। মক ড্রিল ছাড়াও প্রত্যাঘাত সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা।
দেশের সব রাজ্যে হবে ‘মক ড্রিল’। দেশের ২৪৪টি জেলায় মক ড্রিলের আয়োজন।
এমারজেন্সি পরিস্থিতিতে নগদ টাক হাতে রাখার পরামর্শ নাগরিকদের। ইলেকট্রনিক ফেলিওর হলে ডিজিটাল লেনদেনে সমস্যা দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি মক ড্রিলের সময়ে হাতের নাগালে টর্চ এবং ওষুধপত্র রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতকে সমস্ত রকম ভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত আমেরিকা। জানালেন আমেরিকার স্পিকার মাইক জনসন।
বুধবার দেশের মোট ২৫৯ জায়গায় যুদ্ধের মক ড্রিল চলবে। তালিকায় রয়েছে বাংলার ৩১টি এলাকা। সেগুলি হল, কোচবিহার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, মালদা, শিলিগুড়ি, গ্রেটার কলকাতা, দুর্গাপুর, হলদিয়া, হাসিমারা, খড়গপুর, বার্নপুর-আসানসোল, ফারাক্কা-খেজুরিয়াঘাট, চিত্তরঞ্জন, বালুরঘাট, আলিপুরদুয়ার, রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, দিনহাটা, মেখলিগঞ্জ, মাথাভাঙা, কালিম্পং, জলঢাকা, কার্শিয়ং, কোলাঘাট, বর্ধমান, বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ