শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পারভাথানেনি হরিশ জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের দাবি এবং বিবৃতির তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের রেকর্ড তুলে ধরেন এবং স্পষ্ট করে বলেন যে জম্মু ও কাশ্মীর সর্বদা ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের সভায় আন্তর্জাতিক ইসলামোফোবিয়া দিবস উপলক্ষে ভারতের বিবৃতি পাঠ করার সময় হরিশ বলেন, 'অভ্যাস মতোই পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশ সচিব আজ ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয়ে একটি অনুপযুক্ত উল্লেখ করেছেন। বারবার উল্লেখ তাদের দাবির সত্যতা প্রমাণ করবে না এবং সীমান্ত সন্ত্রাসবাদের তাদের অনুশীলনকে ন্যায্যতা দেবে না। এই দেশের চরমপন্থী মানসিকতার রেকর্ড সকলেই জানে। এই ধরনের প্রচেষ্টা এই সত্যকে পরিবর্তন করতে পারে না যে জম্মু ও কাশ্মীর সর্বদা ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এবং সর্বদা থাকবে।'
পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক বলে অভিহিত করেছে ভারত। ইসলামাবাদের করা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে নয়াদিল্লি বলেছে যে বিশ্ব খুব ভাল করেই জানে যে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের আসল কেন্দ্র কোথায়। হরিশ বলেন যে ভারত বৈচিত্র্য এবং বহুত্বের দেশ। ২০ কোটিরও বেশি মুসলিমের আবাসস্থল ভারত, বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার আবাসস্থল এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার ঘটনার নিন্দা জানাতে রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলির সঙ্গে আমরা ঐক্যবদ্ধ।
এর আগে বেলুচিস্তানে জাফর এক্সপ্রেস ট্রেন অপহরণের ঘটনায় ভারতকে দায়ী করেছিল পাকিস্তান। সেই অভিযোগ উড়িয়ে যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারত। পাকিস্তান এর আগে ট্রেন অপহরণের ঘটনায় ব্যর্থতা লুকানোর জন্য প্রথমে আফগানিস্তানকে দায়ী করে। এরপর টার্গেট করে ভারতকে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল একটি বিবৃতি জারি করে জবাব দেন। তিনি বলেন, 'ভারত পাকিস্তানের ভিত্তিহীন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে। বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রস্থল কোনটা তা সারা বিশ্ব জানে। নিজেদের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির ব্যর্থতার জন্য অন্যের দিকে আঙুল তোলা ছাড়ুন। অন্যদের দোষারোপ না করে পাকিস্তানকে আত্মদর্শন করা উচিত। সন্ত্রাসবাদ কারা ছড়ায় তা গোটা বিশ্বে জানে। তাই পাকিস্তানের উচিত তার নিজের দেশের পরিস্থিতির উন্নতির দিকে মনোনিবেশ করা।'