করোনাভাইরাসের নয়া উপপ্রজাতির থাবায় বছর শেষে ক্রমেই সংক্রমণ বাড়ছে দেশে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ৮০০ ছুঁইছুঁই। সংক্রমণ বৃদ্ধির পাশাপাশি চিন্তা বাড়াচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। করোনায় অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৪ হাজার ৯১।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৭৯৮ জন। গত কাল এই সংখ্যাটা ছিল ৭০২। নতুন করে করোনায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। মৃতদের মধ্যে ২ জন কেরলের বাসিন্দা। মহারাষ্ট্র, পুদুচেরি, তামিলনাড়ুতে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩৫১।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে করোনার নয়া উপপ্রজাতি JN.1-এ সংক্রমিতের সংখ্যা ১৪৫। দেশের মধ্যে কেরলে প্রথম এই উপপ্রজাতিতে আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। ৭৯ বছর বয়সি এক বৃদ্ধার শরীরে পাওয়া গিয়েছিল এই সংক্রমণ। নয়া উপপ্রজাতিতে আক্রান্তদের মধ্যে কেরলের ৪১ জন, গুজরাটের ৩৬ জন, কর্নাটকের ৩৪ জন, গোয়ার ১৪ জন, মহারাষ্ট্রের ৯ জন, রাজস্থানের ৪ জন, তামিলনাড়ুর ৪ জন, তেলঙ্গানার ২ জন এবং দিল্লির ১ জন বাসিন্দা রয়েছেন। তবে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন যে, দিল্লিতে ৫০ বছরের যে প্রৌঢ় JN.1-এ আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি বর্তমানে সুস্থ।
দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়লেও এখনই মাস্ক পরা কিংবা কোভিড বিধিনিষেধ জারি করা হবে না বলেই সূত্রের খবর। সাধারণ মানুষকে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে যাঁদের উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দেশে হঠাৎ করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কেন্দ্রের তরফে সব রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির দিকে সর্বক্ষণ নজর রাখা হচ্ছে। গত বছরের শেষ থেকেই করোনার দাপট অনেকটা কমে গিয়েছিল এ দেশে। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও করোনা আতঙ্ক অনেকটাই থিতু হয়েছে। বহু দেশেই কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল করে দেওয়া হয়েছে। মাস্ক পরার মতো নিয়মও শিথিল হয়েছে এ দেশে। মাস্ক ছাড়াই এখন প্রায় সকলেই বাইরে বেরোচ্ছেন। করোনাকে হারিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছেন সকলে। বছর শেষে আবার করোনার সংক্রমণ বাড়ায় চিন্তা বাড়িয়েছে।