Advertisement

L-70 থেকে শিলকা, মাঝ আকাশেই পাকিস্তানের ৬০০ ড্রোন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতের এই কামানগুলি

শুধু অস্ত্র থাকলেই হয় না। সুপরিকল্পিত, দক্ষ সেনাবাহিনীই তার সদ্ব্যবহার করতে পারে। সেটাই প্রমাণ করলেন ভারতীয় সেনার জওয়ানরা। একের পর এক ড্রোন পাঠিয়ে হামলার চেষ্টা করলেও পাকিস্তানের সমস্ত প্ল্যান বানচাল করে দেন তাঁরা।

Aajtak Bangla
  • 17 May 2025,
  • अपडेटेड 4:52 PM IST

শুধু অস্ত্র থাকলেই হয় না। সুপরিকল্পিত, দক্ষ সেনাবাহিনীই তার সদ্ব্যবহার করতে পারে। সেটাই প্রমাণ করলেন ভারতীয় সেনার জওয়ানরা। একের পর এক ড্রোন পাঠিয়ে হামলার চেষ্টা করলেও পাকিস্তানের সমস্ত প্ল্যান বানচাল করে দেন তাঁরা। এক্ষেত্রে যেমন অত্যাধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা কাজে লাগানো হয়েছে, তেমনই ৭০-৮০-র দশকের কামানও ব্যবহার করেছেন জওয়ানরা।

'অপারেশন সিঁদুরে’ পাকিস্তানে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি মাটিতে মিশিয়ে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। এরপরেই বেশ চাপে পরে যায় পাকিস্তান। পাল্টা ভারতের সেনা ঘাঁটি এবং সাধারণ লোকবসতি এলাকায় ড্রোন হামলার চেষ্টা করে তারা।

কিন্তু সেই চেষ্টাই সার। ভারতীয় সেনার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কার্যত বলয়ের মতো কাজ করেছে। সূত্রের খবর, প্রায় ৬০০-রও বেশি পাকিস্তানি ড্রোন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা।

সীমান্ত-জুড়ে কড়া নজরদারি
সূত্রের খবর, নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC) থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সীমান্ত (IB) পর্যন্ত গোটা আকাশপথের প্রতিটি ইঞ্চি কভার করে রেখেছে ভারতীয় সেনা। এর জন্য ১,০০০-টিরও বেশি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম অ্যাকটিভেট করে রাখা আছে। এর পাশাপাশি ৭৫০-রও বেশি কম দূরত্বের ল্যান্ড-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম রয়েছে।

'আকাশ তীরে'ই ঘায়েল পাকিস্তান
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতীয় বায়ুসেনার ‘আকাশ তীর’ দারুণ কাজে দিয়েছে। শত্রুপক্ষের যে কোনও ফ্লাইয়িং অবজেক্টে তীক্ষ্ণ নজর রেখেছে এই সিস্টেম। অর্থাৎ আকাশে পাকিস্তানি কিছু উড়লেই সেকেন্ডের মধ্যে তার খবর চলে আসবে ভারতীয় সেনার কাছে।

উল্লেখ্য, মাত্র কয়েক মাস আগেই বায়ুসেনার ‘ইন্টিগ্রেটেড এরিয়াল কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম’-এর (IACCS) সঙ্গে ‘আকাশ তীর’ কানেক্ট করা হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তানের ড্রোন বা মিসাইল ভারতের আকাশসীমায় ঢুকলেই সঙ্গে সঙ্গে এই IACCS সেটা ধরে ফেলে। তারপর সেই খবর চলে যায় ‘আকাশ তীর’ কম্যান্ড পোস্টে। এরপর সেই নির্দেশ চলে যাচ্ছে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে। পুরোটাই কিন্তু নিমেষে, সেকেন্ডের মধ্যে হচ্ছে। সফটওয়্যারের মাধ্যমে। ফলে মানুষের হাতের ভুলের বা মনঃসংযোগের অভাবে ত্রুটির কোনও অবকাশ নেই।  

পাকিস্তানি ড্রোন চুরমার!
পাকিস্তানের ড্রোন আটকাতে ভারতীয় সেনা মূলত ৩টি কামানের ব্যবহার করেছে:

১. L-70 কামান: ৭০-এর দশকে সুইডেন থেকে এই কামান আনা হয়েছিল। তবে পুরনো কামান বলে দূর্বল প্রযুক্তি ভাববেন না। মিনিটে ৩০০ রাউন্ডেরও বেশি ফায়ার করতে পারে। রেঞ্জ ৩-৪ কিলোমিটার। রাডারের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। 

সময়ের সঙ্গে এর প্রযুক্তি মর্ডানাইজ করা হয়েছে। এর ফলে এখন রাতের আঁধারেও এটি দিব্যি কাজ করে। হাই রেজোলিউশন সেন্সর, ক্যামেরা ও রাডার রয়েছে। এর ফায়ারিংয়েই মাঝ আকাশে গুঁড়িয়ে যায় শত্রুপক্ষের ড্রোন-মিসাইল।

Advertisement

২. ZU-23mm কামান: এটাও ৮০-র দশকের। রাশিয়া থেকে আনা। ডুয়াল ব্যারেলের এই কামানে প্রতি ব্যারেলে ১,৬০০-২,০০০ রাউন্ড থাকে। অর্থাৎ একসঙ্গে ৪,০০০ রাউন্ড ফায়ার করতে পারে। ম্যানুয়ালি কন্ট্রোল করতে হয়। অর্থাৎ সুদক্ষ জওয়ানরা এটি অপারেট করেন। ২ থেকে ২.৫ কিমির মধ্যে যে কোনও ছোট বা দ্রুতগতির টার্গেটে আঘাত হানতে পারে।

শিলকা কামান: ZU-23mm-এরই আরও মডার্ন ভার্সান। এই কামান সাধারণত ট্রাকের উপর বসানো হয়। প্রতি ট্রাকে দু’টি করে ZU-23mm গান থাকে। মিনিটে ৮,০০০ রাউন্ড গুলি চালাতে পারে। 

পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ 
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম যে কতটা শক্তিশালী, তার প্রমাণ হাতেনাতে পেয়েছে পাকিস্তান।  

সেনা আধিকারিকের বক্তব্য
এক উচ্চপদস্থ সেনা আধিকারিক জানালেন, ‘আমাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দুর্দান্ত কাজ করেছে। যে কোনও ধরনের এয়ার স্ট্রাইক মোকাবিলা করতে আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। ভারতের বার্তা খুব স্পষ্ট—সীমান্ত পেরিয়ে হামলা হলে, তার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।’

Read more!
Advertisement
Advertisement