আইএনএস আরিঘাট থেকে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ব্যালিস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা চালাল ভারত। পারমাণবিক চালিত সাবমেরিন INS আরিঘাট থেকে প্রথমবারের মতো K-4 SLBM-এর সফল পরীক্ষা করেছে। পারমাণবিক অস্ত্র বহনকারী এই মিসাইলের পাল্লা ৩৫০০ কিলোমিটার। এই মিসাইলের বিশেষত্ব হল সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে। এর মানে স্থলভাগে পরিস্থিতি ভাল না হলে সাবমেরিন জলের নীচে থেকেই আক্রমণ করতে পারে।
K-4 SLBM হল একটি মিডিয়াম রেঞ্জের সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা পারমাণবিক ব্যালিস্টিক মিসাইল। এটি নৌবাহিনীর অরিহন্ত ক্লাস সাবমেরিনে স্থাপন করা হয়েছে। এর আগে ভারতীয় নৌবাহিনী K-15 ব্যবহার করত। কিন্তু K-4 তার চেয়ে ভাল, আরও নির্ভুল ও উৎক্ষেপন করা সহজ।
আইএনএস অরিহন্ত এবং আরিঘাট সাবমেরিনে চারটি ভার্টিকাল লঞ্চিং সিস্টেম রয়েছে, যার মাধ্যমে এটি চালু করা হয়। এই ক্ষেপণাস্ত্রটির ওজন ১৭ টন এবং ৩৯ ফুট লম্বা। এর ব্যাস ৪.৩ মিটার। এটি ২৫০০ কিলো ওজনের পারমাণবিক অস্ত্র বহনে উড়তে সক্ষম।
অপারেশনাল রেঞ্জ ৪০০০ কিমি
এই মিসাইল একটি সলিড রকেট মোটরের উপর চলে। এর মধ্যে প্রপেলান্টও সলিড। এর অপারেশনাল রেঞ্জ ৪০০০ কিলোমিটার। ভারতের একটি নিয়ম আছে যে তারা প্রথমে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে কাউকে আক্রমণ করবে না। কিন্তু আক্রমণ করলে কাউকে রেহাই দেবে না। তাই নৌবাহিনীতে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র থাকা খুবই জরুরি।
কয়েকদিন আগেই দূরপাল্লার হাইপারসনিক মিসাইলের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। যা দেশের সামরিক শক্তিকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এই টেস্টের জন্য ডিআরডিও-কে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) দ্বারা দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি মিসাইলটি ওডিশার ডক্টর এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ১৫০০ কিলোমিটারের বেশি রেঞ্জের জন্য বিভিন্ন পেলোড বহন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
এই সফল টেস্টের পরে ভারত উন্নত সামরিক প্রযুক্তির অধিকারী দেশগুলির একটি নির্বাচিত দলে যোগ দিয়েছে বলে রাজনাথ সিং জানিয়েছেন। রাজনাথ সিং এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, 'ওড়িশা উপকূলে এপিজে আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে দূরপাল্লার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের ফ্লাইট ট্রায়াল সফলভাবে পরিচালনা করে ভারত একটি বড় মাইলফলক অর্জন করেছে৷ এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত এবং এই উল্লেখযোগ্য সাফল্য আমাদের দেশকে নির্বাচিতদের গ্রুপে রেখেছে, যাদের এই ধরনের উন্নত সামরিক প্রযুক্তির সক্ষমতা রয়েছে।'